খুনের বদলা নিতেই খুন হন যুবলীগ কর্মী আকাশ

খুনের বদলা নিতেই খুন করা হয় মিরসরাইয়ে যুবলীগ কর্মী শহীদুল ইসলাম আকাশকে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি মামুনসহ তিনজন এখন র‌্যাবের জালে।

প্রধান আসামি মামুনকে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নগরের পাহাড়তলী থেকে এবং বাকি দুজনকে চাঁদপুর জেলার পুরান বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৭।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মামলার ১ নম্বর আসামি হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকার মিন্টু মিয়ার ছেলে হুমায়ুন কবির মামুন (২৫), ৩ নম্বর আসামি) পশ্চিম পরাগপুর এলাকার তপন কুমার দাশের ছেলে মুকেশ চন্দ্র দাশ প্রকাশ সৌরভ দাশ (২৪) এবং ইসলামপুর এলাকার মিন্টু মিয়ার ছেলে মো. ইকবাল (২২)।

আরও পড়ুন : মিরসরাইয়ে যুবলীগ কর্মী খুনের মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

র‌্যাব জানায়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হিঙ্গুলী ইউনিয়নের চিনকিরহাট এলাকায় যুবলীগ কর্মী শহীদুল ইসলাম আকাশের দোকানে এসে মামুন গালাগাল শুরু করে। এসময় আকাশ প্রতিবাদ করলে মামুন তাকে দোকানের বাইরে নিয়ে কুপিয়ে জখম করে। আকাশ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামি মোতালেব তার হাতে থাকা ধামা দিয়ে আকাশের গলায় এবং থুতনিতে আঘাত করে। ঘটনার একপর্যায়ে আকাশের বাবা ছেলেকে বাঁচাতে এলে মামুন তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে জবাই করার হুমকি দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন এলে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এরপর আকাশকে উদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মস্তাননগর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে এ ঘটনায় নিহতের বোন নাজমা আক্তার বাদী হয়ে ২১ সেপ্টেম্বর জোরারগঞ্জ থানায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৭/৮ জনকে আসামি হত্যা মামলা করেন।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মামুনের ছোট ভাই আফজাল হোসেনের সঙ্গে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আফজালকে কুপিয়ে খুন করে আকাশ। এ সময় মামুন ও ইকবাল দুভাই জেলে ছিল। গত ১৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পায় মামুন। মুক্তি পেয়ে মামুন তার ভাইয়ের হত্যার প্রতিশোধ নিতে সহযোগী মোতালেব, রাজু, নেজাম, হামিদ ও মুকেশকে নিয়ে আকাশকে খুনের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর শহীদুল ইসলাম আকাশকে খুন করা হয়।

মো. নুরুল আবছার আরও বলেন, আসামিরা গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়। গোপন সংবাদে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

এএ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!