ক্লাসরুমে ‘গোপন প্রেম’ দেখায় দপ্তরিকে কুপিয়ে খুন করল স্কুলছাত্র

বান্দরবানে মাদরাসার দপ্তরিকে খুনের অভিযোগে ছৈয়দুল আমিন নামের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ!

বুধবার (৯ নভেম্বর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে চাকঢালা আমতলী বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে দপ্তরি দিদারকে দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করে ছৈয়দুল।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই ছাত্র খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। পরে তার দেওয়া তথ্যে খানাকা মসজিদের পুকুরের পশ্চিম পাশের ধানক্ষেত থেকে খুনে ব্যবহৃত রক্তমাখা একটি দা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার ছৈয়দুল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চাকঢালা এলাকার মো. হোসেনের ছেলে। সে মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে তরুণীর ‘প্রেমিক বদলের’ শোধ নিতেই খুন করা হয় যুবককে

নিহত দপ্তরি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চাকঢালা এলাকার ফজুরছড়া গ্রামের হাজি ইসলাম মিয়া সওদাগরের ছেলে দিদার আলম। তিনি একজন হাফেজ ও একই মাদরাসার খণ্ডকালীন দপ্তরি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার (৭ নভেম্বর) গ্রেপ্তার ছৈয়দুল বান্ধবীর সঙ্গে ক্লাসরুমে একান্তে কথা বলার সময় দপ্তরি দিদার তাদের দেখে ফেলেন। এ সময় তাদের মধ্যে তর্কাতর্কিও হয়। পরে দিদার বিষয়টি মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে জানায়। একইদিন এ ঘটনা নিয়ে বৈঠকে বসেন শিক্ষকরা।

এদিকে ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাত ৮টার দি‌কে দিদার চাকঢালা আমতলী বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করে ছৈয়দুল। প‌রে বুধবার (৯ নভেম্বর) মাদরাসায় সেই বৈঠকের সূত্র ধরে ছৈয়দুলকে গ্রেপ্তার করে পু‌লিশ।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. শাহজাহান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, মাদরাসার দপ্তরি দিদারকে হত্যার ঘটনায় ছৈয়দুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বিডি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!