কোর্ট হিলের ধস রোধে দ্রুত রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

কোর্ট হিলের ধস রোধে দ্রুত সময়ের মধ্যে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ ও ফাটল সংস্কার করতে গণপূর্ত বিভাগকে অনুরোধ করেছে বিশেষজ্ঞ দল।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিস, গণপূর্ত বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ দল পরিদর্শন শেষে এ অনুরোধ করেন।

আরও পড়ুন: কোর্ট হিলকে ‘পরীর পাহাড়’ বলা যাবে না

এর আগে জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান, যুগ্ম জেলা জজ (নেজারত) খায়রুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কারিগরি টিম, পরিবেশ অধিদপ্তরের টিম, গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীরা পাহাড়ের ধসে পড়া বিভিন্ন স্থান সরেজমিন পরিদর্শন করেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পরিদর্শনে ফায়ার সার্ভিস, গণপূর্ত বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ দল দ্রুত সময়ে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ ও সংস্কারের পরামর্শ দেন। ধসে পড়া স্থানের ক্ষতি নিরসনে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় সংস্কার করার জন্য গণপূর্ত বিভাগকে অনুরোধ করেন।

জানা গেছে, পাহাড়ি ঢালে অনুমোদনহীন ভবনের চাপে পরীর পাহাড়ে ধস এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সীমানা দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনার কারণে কোর্ট হিল এলাকায় যেকোনো সময় মারাত্মক পাহাড় ধসসহ ভূমিকম্পে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন পরিদর্শক দল।

এছাড়া যুগ্ম জেলা জজ (নেজারত), জেলা জজ আদালত, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের আশপাশের অবৈধ স্থাপনাসমূহ দ্রুত সময়ে অপসারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: রাতের আঁধারে শ্রমিকের বড় বহর নিয়ে গাছ কাটার উৎসব পরীর পাহাড়ে, খোদ উকিলরাই

এসময় জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনাসমূহ নিজ উদ্যোগে অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।

জানা গেছে, কোর্ট হিলে রয়েছে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, জেলা ও দায়রা জজ আদালতসহ মোট ৭৬টি আদালত। এছাড়া পাহাড়ের পাদদেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম শাখা, সাব রেজিস্ট্রি এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অফিস রয়েছে।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!