কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে আলমগীরকে হত্যা করে ছোট ভাই রাসেল

ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগরে যুবক মো. আলমগীর (৩২) হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। ১১ দিন পর বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেছে আলমগীরের ছোট ভাই মো. রাসেল।

ঘটনার পর পুলিশ আলমগীরের বাবা মো. বাহাদুর, স্ত্রী সজিনা, ছোট ভাই রাসেল ও ভগ্নিপতি শাহ আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। অন্যদের ছেড়ে দিলেও রাসেলের কথায় সন্দেহ হলে পুলিশ তাকে নজরে রাখে। পরে বুধবার রাতে রাসেলকে থানায় এসে আবারো জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে খুনের দায় স্বীকার করে।

রাসেল জানায়, ‘হঠাৎ মাথা গরম হয়ে গেলে আলমগীরকে কুড়াল দিয়ে মাথায় আঘাত করে সে। এ সময় আলমগীর মাটিতে লুটিয়ে পড়লে উদ্ধার করে নাজিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ বৃহস্পতিবার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের জন্য রাসেলকে চট্টগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠান।

ফটিকছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সন্দেহ হলে আমরা রাসেলকে আবারো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকি। শেষ পর্যন্ত সে তার ভাইকে হত্যার কথা স্বীকার করে। জবানবন্দি গ্রহণের জন্য তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৬ জুন রাতে উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের ঝরঝরি গ্রামের নিজ বাড়িতে মো. আলমগীর (৩২) নামের এক যুবককে হত্যা করা হয়। নিহতের পিতা বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা করেন।

আক্কাছ/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!