আনোয়ারায় প্রতিবেশীর বাসায় কাঁঠাল খাওয়ায় মিজবাহ্ (৭) নামে এক শিশুকে গরম চামচের ছ্যাঁকায় শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে দিয়েছেন সৎ মা নাহিদ সুলতানা অনিকার (২১)।
মঙ্গলবার (২০ জুন) রাতে উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড মাঝেরপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার পর অভিযুক্ত সৎ মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া নির্যাতিত শিশুকে উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে।
গ্রেপ্তার নাহিদ সুলতানা অনিকার বাড়ি পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইন এলাকায়। তিনি আনোয়ারা বটতলী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন।
আরও পড়ুন: মাল্টা চুরি করায় ২ শিশুকে গাছে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন
স্থানীয়রা জানান, শিশুটির মায়ের মৃত্যু হলে বাবা মো. ফারুক দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিছুদিন পর তৃতীয় বিয়ে করে বাবা মিজবাহকে ফেলে চলে যান। এরপর শিশুর সৎ মা নাহিদ সুলতানার কাছে বড় হতে থাকে সে।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে পাশের বাসায় কাঁঠাল খাওয়ার সময় দেখতে পান সৎ মা নাহিদ। পরে মিজবাহ্কে ঘরে আগুনে চামচ গরম করে শরীরের বিভিন্ন অংশ ছ্যাঁকা দেন। একপর্যায়ে যন্ত্রণায় ওই শিশু চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে তাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনার পর শিশুর নানা মো. সিরাজ থানায় মামলা করলে পুলিশ বুধবার রাতে অভিযুক্ত সৎ মাকে গ্রেপ্তার করে এবং শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
নির্যাতিত শিশু মিজবাহ বলে, পাশের বাসায় কাঁঠাল খাওয়ার অপরাধে আমাকে চামচ গরম করে সৎ মা ছ্যাঁকা দেয়। আমার মা-বাবা কেউ নেই, আমি এতিম।
যোগাযোগ করা হলে আনোয়ারা থানার উপপুলিশ পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বুধবার বিকেলে শিশু নির্যাতনের ঘটনায় ভিকটিমের নানা মো. সিরাজ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এরপর এদিন রাতে অভিযুক্ত নাহিদ সুলতানা অনিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিইউটি/আরবি