মিরসরাইয়ে করোনা আক্রান্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজেদ উল্ল্যার লাশ দাফনে বাধা দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নেতারা।
একইসঙ্গে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিও জানান তারা। অন্যথায় আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট, মিরসরাই থানা কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যু—মুক্তিযোদ্ধার লাশ ‘কবরে’ নিতে বাধা, অ্যাম্বুলেন্স ঠেকাতে ‘ব্যারিকেড’
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহীদুল হক চৌধুরী ছৈয়দ, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, মিরসরাই থানা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির আহ্বায়ক সাহেদ মুরাদ সাকু, সদস্য সচিব কাজী মুহাম্মদ রাজিশ ইমরান, জেলা কমিটির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মশিউজ্জামান সিদ্দিকী পাভেল ও সদস্য সচিব মো. কামরুল হুদা পাভেল।
বিবৃতিতে চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এদেশ। অথচ এদেশে করোনায় মৃত্যুবরণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজেদ উল্ল্যাহকে তাঁর নিজ গ্রাম জোয়ারায় নিয়ে যাওয়ার পর দেশবিরোধী কতিপয় ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করতে দেয়নি। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইন্তেকাল করার পর রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান রাষ্ট্রীয় আইন। শোকের মাসে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ নিয়ে এ ধরনের ঘৃণ্য রাজনীতি পুরো জাতিকে ভাবিয়ে তুলেছে। তারা স্বাধীন দেশে থেকে রাজাকার-আলবদরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। অন্যথায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের পক্ষ থেকে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।