কক্সবাজারে সমুদ্রস্নানে এক দশকে চোখের পলকেই ২০ পর্যটকের মৃত্যু

কক্সবাজার বেড়াতে এলে সাগরের জলে নামে না এমন লোকের সংখ্যা নেই বললেই চলে। সাগরের টেউয়ে চেপে নীল জল দিগন্তে ভেসে যাওয়ার আনন্দটাই অন্যরকম। তবে এই আনন্দ কখনও কখনও পরিণত হয় বিষাদে। সমুদ্রস্নানে নেমে অনেকেই হারায় প্রাণ, আনন্দ করতে এসে ভর করে বিষাদ।

গেল দশ বছরে সমুদ্র নেমে মারা গেছে অন্তত ২০ জন পর্যটক। সর্বশেষ ২৬ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে আসা ৫১ বছর বয়সী এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে।

সমুদ্রে গোসলে নামা পর্যটকদের জন্য জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা দেওয়া আছে প্রায় সবকটি পয়েন্টে। অন্যদিকে লাবনী, সুগন্ধা ও কলাতলী- এ তিনটি পয়েন্টে কাজ করে ৫০ জন লাইফগার্ড।

তারা বলছেন, লাল-হলুদ পতাকা দেওয়া থাকলে কেবল সেখানেই সমুদ্র স্নানের জন্যে নিরাপদ। প্রতিদিন সমুদ্রের সেসব পয়েন্টে কোথাও গুপ্ত খাল আছে কি-না অথবা অন্য কোনো জটিলতা আছে কি-না তা যাচাই করে এই লাল-হলুদ পতাকা দেওয়া হয়।

এদিকে লাইফগার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্যটকেরা সাগরে নেমে বিপদে পড়লে হাত তুলে সাহায্য চাইলেই লাইফগার্ড কর্মীরা তাদের উদ্ধার করবে। তবে সন্ধ্যার পর লাইফগার্ড থাকে না। সে সময় গোসলে মানা আছে জেলা প্রশাসনের।

সমুদ্রে নামার আগে পর্যটকদের দুটি বিষয় লক্ষ্য রাখার প্রতি জোর দিয়েছেন লাইফগার্ড কর্মীরা। প্রথমত, লাইফগার্ড কর্মীদের উপস্থিতি আছে এমন জায়গায় যেন সমুদ্রস্নান করেন
পর্যটকরা। দ্বিতীয়ত, লাল-হলুদ পতাকা দেখেই যাতে সমুদ্রস্নান করতে নামেন পর্যটকরা। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলা এবং সচেতন হলেই সমুদ্রস্নানে মৃৃ্ত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে তারা মনে করেন।

এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!