প্রভাষকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হওয়ায় কারিনাকে এসিড মারে আপন খালাতো বোন
চট্টগ্রামে আপন দুই খালাতো বোনকে এসিড ছোড়ার মামলায় ভাই-বোনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১ জুন) পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নারগিস আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের রায়ে দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন-শারমীন ফারজানা লতিফ সাকি (৩৩) ও তার ছোট ভাই মু. ইফতেখার লতিফ সাদি (৩০)। তারা চকরিয়া মানিকচর ভেউলা এলাকার আব্দুল লতিফ মাস্টারের সন্তান।
আরও পড়ুন: স্ত্রী-সন্তান আছে প্রেমিকের—শুনেই বিয়ে ফিরিয়ে দেওয়ায় এসিডে ঝলসে দিল তরুণীকে
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তসলিম উদ্দিন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আপন দুই খালাতো বোনকে এসিড ছোড়ার মামলায় দুই ভাই-বোনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে সাদিকে ৫০ হাজার টাকা এবং শারমীনকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও সাত বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। রায় ঘোষণার পর তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভিকটিমদের মা আনার কলি রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আশা করব উচ্চ আদালতে আপিল করলেও এই রায় যেন বহাল থাকে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২ অক্টোবর ভোরে নগরের চকবাজার জয়নগর এলাকায় দুই বোন মুনতাহা কারিনা (২০) ও সালসাবিল তাসনিমকে (১৬) লক্ষ্য করে এসিড নিক্ষেপ করে শারমীন। এতে দুবোনের শরীর ঝলসে যায়। পরে তাদের বাবা আনোয়ারুল মুবিন বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: প্রেমে ব্যর্থ তোবারক আলী স্কুলের শিক্ষক ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলেন ছাত্রীর অশ্লীল ছবি
তদন্ত শেষে পুলিশ ১৪ ডিসেম্বর কারিনা ও তাসনিমের খালাতো ভাই সাদি ও সাদির বোন সাকিকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে সাক্ষী ছিল ২৫ জন। এরপর ২০১১ সালের ২৮ এপ্রিল তৎকালীন মহানগর দায়রা জজ একেএম শামসুল ইসলামের আদালত পুলিশের দেওয়া চার্জশিটে ওপর শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন করেন।
পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, এসিড নিক্ষেপের ঘটনার ১০ দিন পর মুনতাহা কারিনার বিয়ের দিন নির্ধারিত ছিল চট্টগ্রাম কলেজের এক প্রভাষকের সঙ্গে। খালাতো বোন কারিনা শারমীনের চেয়ে বয়সে ছোট এবং সুন্দরী ছিল। এতে শারমীন ঈর্ষান্বিত হয়ে তাদের ওপর এসিড নিক্ষেপ করে। এসময় শারমীন নিজের গায়ে এসিড লাগিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টাও করে। এসিড সংগ্রহে সহায়তা করে তার ভাই সাদি।
আরএস/আরবি