ঋণ আদায় না করে সময় পার, ব্যাখ্যা দিতে হবে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে

খাজা স্টিল সাপ্লাইয়ার্সের খেলাপী ঋণ আদায়ে অবহেলার কারণে সোনালী ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখা ব্যবস্থাপককে (ম্যানেজার) শোকজ করেছেন আদালত। একইসঙ্গে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর আদেশও দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২ জানুয়ারি) অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ৮৫ লাখ ৯৬ হাজার ৩৮৩ টাকা খেলাপি ঋণ আাদায়ে খাজা স্টিল সাপ্লাইয়ার্সের মালিক আবুল হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংক আগ্রাবাদ কর্পোরেট শাখা জারি মামলা করে। এরপর ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর সুদ মওকুফ সুবিধা পেয়েও ঋণের টাকা পরিশোধ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। ২০০৯ সালের ৪ মার্চ প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৫১০ টাকা আদায়ে দ্বিতীয় জারি মামলা করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

এদিকে বন্ধকী সম্পত্তি দুবার নিলামে বিক্রির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় সোনালী ব্যাংক।

আরও পড়ুন: বাগদাদ গ্রুপের এমডি ঋণখেলাপি ফেরদৌসকে ধরল পুলিশ

পরে খাজা স্টিল সাপ্লাইয়ার্সের মালিক আবুল হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে হাইকোর্টের রিট মামলার আদেশ মোতাবেক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রি-কল করা হয়।

এদিকে ২০২১ সালের ২৬ আগস্ট খাজা স্টিল সাপ্লাইয়ার্স স্থগিতাদেশ দাখিল করতে না পারায় ব্যাংকের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়। এরপর আরও ৯টি ধার্য তারিখে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোনোরকম পদক্ষেপ না নিয়ে সময় প্রার্থনা করে। এসময় আবুল হোসেন চৌধুরীও আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

২০২২ সালের ১০ মে ১ কোটি ২৩ লাখ ৪৭ হাজার ৭৯০ টাকার সুদ মওকুফ করে ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩৯ টাকা ৩ মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩ বছরের মধ্যে ১১টি ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দিয়ে মঞ্জুরিপত্র প্রদান করা হয়। কিন্তু মঞ্জুরিপত্রের শর্তেও টাকা পরিশোধ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। এরপরও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

এ বিষয়ে আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আজ ব্যাংকের আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তারা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করে সময়ের আবেদন করে। মঞ্জুরিপত্র লঙ্ঘনসহ দীর্ঘ ২০ বছরের পুরনো খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যাংকের নির্লিপ্ততার ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে সোনালী ব্যাংক আগ্রাবাদ কর্পোরেট শাখার ব্যবস্থাপককে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!