ইভ টিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় কলেজছাত্রকে কোপাল কিশোর গ্যাং

পটিয়ায় খলিল মীর ডিগ্রী কলেজের সামনে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় আজিজুল হক (২৪) নামে চট্টগ্রাম কমার্স কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সকালে সাড়ে ১০টার দিকে কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, কিশোর গ্যাং লিডার মিনহাজুর উদ্দীন মুন্নার নেতৃত্বে রিফাত, ইস্পাতসহ অন্তত ১৫–২০ জন এ হামলায় অংশ নেয়। অভিযুক্ত সবাই দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বিজিএমই নেতা মো. নাছিরের অনুসারী। তবে তাদের কারো সঙ্গে গত এক বছর ধরে যোগাযোগ নেই বলে জানান মো. নাছির।

আরও পড়ুন: ইভ টিজিং—ছাত্রলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষে রক্তাক্ত ৪, মোটরসাইকেলে আগুন

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত মিনহাজুর উদ্দীন মুন্না কলেজে কিশোর গ্যাং তৈরি করে এলাকায় মারামারি, ইভ টিজিং, মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত৷ তার অপকর্মের প্রতিবাদ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে আজিজের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।

এ বিষয়ে আজিজুল হকের খালাতো ভাই আব্দুল কাদের আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আজিজের আত্মীয়ের এক মেয়েকে খলিল মীর ডিগ্রি কলেজের সামনে প্রতিনিয়ত ইভ টিজিং করতো মুন্নাসহ তার গ্যাংয়ের সদস্যরা৷ একদিন আজিজ ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে তারা। একপর্যায়ে সুযোগ বুঝে তাকে একা পেয়ে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আজিজ। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আজিজের বাবা বাদী হয়ে এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বিজিএমই নেতা মো. নাছির আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। যাদের নাম বলা হচ্ছে তাদের সঙ্গে আমার এক বছর ধরে যোগাযোগ নেই। তবে অপরাধ যে করবে তাকে শাস্তি পেতেই হবে৷

যোগাযোগ করা হলে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে জানি না। কেউ অভিযোগও করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এআইটি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!