আসামি ধরে এনে ‘চেহারা’ মিলাতে পারছে না, ‘বিকল্প’ পথ খুঁজছে পুলিশ

নগরের খুলশি থানা এলাকায় ১৭ বছর বয়সের এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. আজাদ (৪০) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের খুলশি থানায় চলছে ‘নতুন নাটক’। পুলিশ বলছে, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওই তরুণী থানায় মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক মো. আজাদ নিজেকে কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা বলে দাবি করছে।

আরও পড়ুন: খুলশীতে যুবকের কাছে মিলল ১৭১ বোতল জ্যাক ডেনিয়েল—ব্ল্যাক লেভেল—ভদকা!

বিষয়টি নিশ্চিত করে আটক ব্যক্তিকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেন খুলশি থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা। তিনি আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ওই তরুণী কিছু লোকের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে আজাদকে ফাঁসিয়েছে বলে শুনেছি। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।

এদিকে ধর্ষিত তানিয়া আক্তারের প্রতিবেশী মনি আক্তার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, তানিয়া খুলশি থানার সেগুনবাগান লালপাহাড় জহিরের ভাড়া বাসায় থাকেন। কিছুদিন আগে তাঁর এক খালার সঙ্গে তানিয়া কাপ্তাই এলাকার এক হুজুরের কাছে যান। সেখানে আজাদের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর বিভিন্ন সময় তাদের উভয়ের মধ্যে মোবাইলে কথা চলে। একপর্যায়ে আজাদ তানিয়ার বাসায় একাধিকবার আসা-যাওয়া করেন। এসময় তাঁরা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিতেন।

এ বিষয় জানতে চাইলে সিএমপির উপকমিশনার (উত্তর) মোখলেসুর রহমান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, অভিযোগকারী বলছে আজাদকে সে কোনোদিন দেখেনি। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে সে এই লোক না। এখানে রফাদফার কিছু নেই।

ভুক্তভোগী তরুণীর বাসায় অভিযুক্ত আজাদ বহুবার যাওয়া-আসা করেছেন এলাকাবাসীর এমন দাবির কথা জানালে ডিসি মোখলেসুর রহমান বলেন, এলাকাবাসী ফ্যাক্টর না। ফ্যাক্টর হলো ওই মেয়ে।

অভিযোগের পর আজাদকে ধরে আনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলোমেলো হতেই পারে। মিথ্যা অভিযোগ হলে তাকে তো ছেড়ে দিতে হবে। তবে মিথ্যা অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা।

এনইউএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!