চবির ছাত্র ঝুলল দড়িতে, লিখে গেল মা—বাবার কাছে ‘কৃতজ্ঞতার’ কথাও

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী অনিক চাকমা কটেজে দড়িতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর আগে তিনি ৬ পৃষ্ঠার একটি চিরকুট লিখে গেছেন। চিরকুটে তিনি মা-বাবার কাছে কৃতজ্ঞতা ও সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

সোমবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হলের সামনে এস আলম কটেজ থেকে অনিকের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে।

মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী অনিক চাকমা রাঙামাটি সদরের বালুখালী ইউনিয়নের মোহন লাল চাকমার ছেলে। তার মায়ের নাম গোপিদেবী।

আরও পড়ুন: চবিতে লঙ্কাকাণ্ড—রাতের আঁধারে ২ ছাত্রী হেনস্তা, শনাক্ত ৪ ছাত্র—প্রক্টরের কাছে বিচার

এস আলম কটেজের শিক্ষার্থীরা জানান, রোববার রাতে অনিক তার নিজের রুমেই ছিলেন। রুমমেট বাড়িতে থাকায় তিনি একাই ছিলেন। সকাল ১১টার পরও তার রুম থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে জানালার ফাঁক থেকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

এদিকে মরদেহের সঙ্গে অনিকের রুম থেকে একটি ছয় পৃষ্ঠার চিরকুটও উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানে তিনি লিখেন, আমি যদি বন্ধুদের সঙ্গে ভালোভাবে মিশতে পারতাম, তাহলে এটা হতো না। এখন আমি অধঃপতিত হলাম। আমি আপনাদের কাছে একদম ক্ষমার অযোগ্য, তবুও সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

অন্য একটি পাতায় তিনি লিখেন, আমি ক্লাস সিক্স থেকে ডিপ্রেশনে আছি। সেই থেকে ক্লাস টেন পর্যন্ত মোটামুটি ভালো, খেলাধুলা করেছি, বন্ধুবান্ধব পেয়েছি। তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।

চবি মেডিকেল সেন্টারের প্রধান ডা. আবু তৈয়ব বলেন, ওই শিক্ষার্থী শেষরাতের দিকে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারনা করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর শহীদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা অনিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করি। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে ধারনা করছি।

বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. কবির হোসেন বলেন, অনিকের কক্ষের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। পরে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা যাবে।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!