এন্টিজেন টেস্ট বাদে প্রতিদিন ১১টি ল্যাবে চট্টগ্রামে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে একটি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা হয়নি। বাকি ১০ ল্যাবের মধ্যে আটটিতেই শনাক্তের হার অনেকটা কম। কিন্তু দুই ল্যাবে বেড়ে গেছে শনাক্তের হার। এই দুই ল্যাবের বাড়তি শনাক্তে চাপা পড়েছে আট ল্যাবের সাফল্য।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১ হাজার ৩৬৭ নমুনা পরীক্ষায় ২৬৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ১৯.৫৩ শতাংশ। এর মধ্যে শুধু দুই ল্যাবেই শনাক্ত হয়েছে যথাক্রমে ৩০.৬০ ও ৫৫.৫৬ শতাংশ! ল্যাব দুটি হলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও আরটিআরএল।
রোববার (২৯ আগস্ট) সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৪ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ১২৩ জন বাসিন্দা। এদিন নগরে কোনো করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি। কিন্তু এই সময়ে উপজেলায় মারা গেছেন ৪ করোনা রোগী।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে করোনায় সুখবর আর সুখবর
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তালিকা অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২১৯ নমুনা পরীক্ষায় ৬৭ জন, বিআইটিআইডি ল্যাবে ৩২৪ নমুনা পরীক্ষায় ৪৭ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৬৯ নমুনা পরীক্ষায় ৬৯ জন, ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৪৮ নমুনা পরীক্ষায় ৪৪, শেভরন ল্যাবে ১১৪ নমুনা পরীক্ষায় ৯ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩০ নমুনা পরীক্ষায় ৭ জন, আরটিআরএল ল্যাবে ৯ নমুনা পরীক্ষায় ৫ জন, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২৫ নমুনা পরীক্ষায় ৩ জন এবং ইপিক হেলথ কেয়ারে ৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
এদিন ইমপেরিয়াল ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনা : গ্রামে বেড়েছে করোনা রোগী, মৃত্যুও দ্বিগুণ
এদিকে ৮২ জনের এন্টিজেন টেস্টে ১৩ জন শনাক্ত হয়। এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলেও কারো করোনা শনাক্ত হয়নি। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে লোহাগাড়ায় ১ জন, সাতকানিয়ায় ৩ জন, বাঁশখালীতে ২, আনোয়ারায় ১৪ জন, চন্দনাইশে ৬ জন, পটিয়ায় ৭ জন, বোয়ালখালীতে ৮ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ২৯ জন, রাউজানে ২০ জন, ফটিকছড়িতে ১০ জন, হাটহাজারীতে ২১ জন ও সন্দ্বীপে ২ জনের দেহে করোনা পাওয়া যায়।
এদিন মিরসরাই ও সীতাকুণ্ডে করোনা রোগী পাওয়া যায়নি।
এসি