চট্টগ্রামে করোনায় শনাক্তে স্বস্তির চিত্র দেখা গেলেও গ্রামে বাড়ছে মৃত্যুর আহাজারি। টানা তিনদিন শহরের চেয়ে গ্রামে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জনই উপজেলার বাসিন্দা।
এর আগে উপজেলায় শনিবার মৃত্যু হয় ৩ জনের এবং শুক্রবার ৮ জনের। তবে বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছিল ২ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টার ১ হাজার ৯৭২ নমুনা পরীক্ষায় ২৯৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনা : সিঙ্গেল ডিজিটে ১০ উপজেলা, দুটিতে ডাবল—দুটিতে ‘দাপট’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৯৬ নমুনা পরীক্ষায় ৬১ জন, বিআইটিআইডি ল্যাবে ৭৪৯ নমুনা পরীক্ষায় ৬৩ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২২০ নমুনা পরীক্ষায় ৪২ জন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৬৫ নমুনা পরীক্ষায় ৫৭ জন, শেভরন ল্যাবে ২৪০ নমুনা পরীক্ষায় ১৮ জন, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৪৪ নমুনা পরীক্ষায় ১৭ জন, আরটিআরএল ল্যাবে ১৬ নমুনা পরীক্ষায় ৫ জন, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২৪ নমুনা পরীক্ষায় ৬ জন এবং ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ৪৮ নমুনা পরীক্ষায় ৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
এদিন ইমপেরিয়াল ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।
আরও পড়ুন: এলো দেড় লাখ করোনার টিকা, একের পর এক চালান আসছে চট্টগ্রামে
এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ১ নমুনা পরীক্ষায় কারো করোনা শনাক্ত হয়নি।
এদিকে ১৬৯ অ্যান্টিজেন টেস্টে ২৩ জনের দেহের করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে।
এছাড়া উপজেলার মধ্যে চন্দনাইশে এদিন কোনো করোনা রোগী পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: করোনা থেকে সারাজীবন সুরক্ষা দিবে যে ভ্যাকসিন
অন্যদিকে লোহাগাড়ায় ৪ জন, সাতকানিয়ায় ৩ জন, বাঁশখালীতে ১, আনোয়ারায় ৮ জন, পটিয়ায় ২ জন, বোয়ালখালীতে ২২ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৩০ জন, রাউজানে ২৩ জন, ফটিকছড়িতে ১৪ জন, হাটহাজারীতে ২৬ জন, সীতাকুণ্ডে ৪ জন, মিরসরাইয়ে ৫ জন এবং সন্দ্বীপে ৩ জনের দেহে করোনা পাওয়া যায়।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে ১৫৩ জন নগরের এবং ১৪৫ জন উপজেলার। মারা যাওয়াদের মধ্যে ২ জন নগরের এবং ৬ জন উপজেলার বাসিন্দা।