চট্টগ্রামে কমছে না ডেঙ্গুর প্রকোপ। বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। চলতি বছরে ১০০ পার হয়েছে ডেঙ্গু রোগী। তবে নগরের চেয়ে উপজেলায় বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। এর মধ্যে আক্রান্ত বেশি হচ্ছে পুরুষ।
বর্তমানে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০৬ জন। তবে কমেছে মৃত্যুর হার। এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১ জনের (পুরুষ)।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন : ২ মাসে শত ছুঁই ছুঁই, চট্টগ্রামে নগরের চেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী গ্রামে
বুধবার (১২ মার্চ) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও চলতি মার্চ মাসে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩ জন, নারী ৩৪ জন ও শিশু ২৯ জন। মারা গেছেন ১ জন।
চলতি মার্চে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৮ জন। এর মধ্যে নগরে ৪ জন ও উপজেলায় ৪ জন। তবে এ মাসে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ জন। এর মধ্যে নগরে ১৩ জন ও উপজেলায় ১৫ জন। এ মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি।
এর আগে জানুয়ারিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ৭০ জন। এর মধ্যে নগরে ২৭ জন এবং উপজেলায় ৪৩ জন।
এদিকে গত ৬ জানুয়ারি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যান মো. নাসের (৪৮) নামে এক যুবক। চান্দগাঁও এলাকার বাসিন্দা ডেঙ্গু আক্রান্ত ওই যুবক গত ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে এরপর থেকে এখন পর্যন্ত আর কেউ মারা যাননি।
অন্যদিকে নগরের চেয়ে উপজেলায় বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। তবে দুই উপজেলা এখনও ডেঙ্গুশূন্য রয়েছে।
আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে ডেঙ্গু রোগী শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, উপজেলায় আক্রান্ত ৬২ জনের মধ্যে লোহাগাড়ায় ৫ জন, সাতকানিয়ায় ৯ জন, বাঁশখালীতে ৯ জন, চন্দনাইশে ১ জন, পটিয়ায় ৪ জন, বোয়ালখালীতে ৩ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৫ জন, রাউজানে ২ জন, ফটিকছড়িতে ২ জন, হাটহাজারীতে ৩ জন, সীতাকুণ্ডে ১২ জন, মিরসরাইয়ে ৪ জন এবং কর্ণফুলীতে ৩ জন। তবে আনোয়ারা ও সন্দ্বীপ উপজেলায় এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৩১৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ২৮৬, নারী ১ হাজার ২৪০ ও শিশু ৭৯২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ২ হাজার ৭৪০ জন নগরের এবং ১ হাজার ৫৭৮ জন উপজেলার বাসিন্দা। এছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা হওয়া ৪৫ জনের মধ্যে ২৪ জন নারী, ১৬ জন পুরুষ এবং ৫ জন শিশু।
২০২৪ সালে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত পাওয়া গেছে অক্টোবরে, ১ হাজার ৪৩০ জন। আর মৃত্যুতে ‘ভয়ঙ্কর’ ছিল নভেম্বর। ওই মাসেই ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম
