করোনার টিকা—দুর্গম পাহাড়ে শুধুই প্রতীক্ষা

রাঙামাটির দুর্গম জুরাছড়ি উপজেলার দুমদুম্যা ইউনিয়নের পাংখোয়া জনগোষ্ঠীসহ আড়াই হাজারের বেশি মানুষ এখনো করোনার টিকাবঞ্চিত। নেটওয়ার্ক না থাকায় টিকার নিবন্ধন করতে পারছেন না এসব এলাকার মানুষ। ফলে এখানকার মানুষের টিকা পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, দুমদুম্যা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে করইদিয়া, দুলুছড়ি, ছোট করইদিয়া, শেমাইতুলী, নাশতলী, ভুয়াতুলী পাড়া, বুলংতুলী, লাতোয়ান পাড়া, বালুছড়াসহ ১২টি গ্রাম। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দপাড়া, কালামনছড়ার ৬টি গ্রাম, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আদেয় হাবছড়া, হজতুলীসহ ৬টি গ্রাম। এসব গ্রামে পাংখোয়াসহ আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষের বসবাস।

দুর্গম এলাকাগুলোতে নৌ ও সড়ক যোগাযোগ নেই। এসব এলাকায় বর্তমানের ভাইরাসজনিত জ্বর, সর্দি ও কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে করোনা পরীক্ষার জন্য তাদের নমুনা সংগ্রহ সম্ভব হচ্ছে না।

আরও পড়ুন: করোনার টিকা—ইনজেকশন পুশ ছাড়াই কার্যকর শতভাগ!

দুমদুম্যা মৌজার প্রবিন হেডম্যান সমুর পাংখোয়া (৭০) বলেন, আমার বয়স হয়েছে। সরকার এখানে টিকা দিলে অনেক উপকার হবে। ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দির প্রাদুর্ভাব বেড়েছে।

বগাখালি গ্রামের কার্বারী লংগ তঞ্চঙ্গ্যা (৬৮) বলেন, সরকার সারাদেশে কোভিড-১৯ টিকা দিচ্ছে। অথচ আমরা এখনো পাচ্ছি না। কখন পাব তাও অনিশ্চিত।

এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে দুমদুম্যা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাধন কুমার চাকমা আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, এসব গ্রামের মানুষকে কোভিড-১৯ টিকা প্রদানে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অনন্যা চাকমা জানান, স্বাস্থ্যকর্মী টিকা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। ভ্যাকসিন সঠিক তাপমাত্রায় রাখার সুব্যবস্থা না থাকায় দুমদুম্যা ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের টিকা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি ইতোমধ্যে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: জুরাছড়ির ৩ ইউপিতে প্রার্থী নিয়ে উত্তপ্ত আওয়ামী লীগ

এদিকে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা দুমদুম্যা ইউনিয়নে কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতার অনুরোধ জানান।

যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিতেন্দ্র কুমার নাথ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, হেলিকপ্টারে করে দুমদুম্যা ইউনিয়নে টিকা পৌঁছাতে গত ২১ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি শিগগির সমস্যার সমাধান হবে।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!