করোনার টিকা নিতে কষ্টের অন্ত নেই। হাসপাতাল যাওয়া, লাইনে দাঁড়ানো, শরীরে ইনজেকশন পুশ কত কী। তবে এবার এসব কষ্ট শেষ হতে চলেছে!
ঠিক পড়ছেন, টিকা নিতে ইনজেকশন পুশ করতে হবে না। শুধু নাক দিয়ে একবার নিঃশ্বাস নিলেই নেওয়া হয়ে যাবে করোনার টিকা! আবার এই টিকা করোনার সব ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেই প্রায় শতভাগ কার্যকর!
এমনটিই বলা হয়েছে একটি পাউডার টিকা সম্পর্কে। যে টিকার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নগদ টাকায় ‘চটজলদি’ করোনার টিকা, মধ্যস্থতায় ‘কাছের বন্ধু’
সুইডেনের বিজ্ঞানীরা এই টিকা নিয়ে কাজ করছেন। টিকাটি ট্রায়ালের অপেক্ষায় রয়েছে। যে ট্রায়াল আগামী মাসে বাংলাদেশে শুরু হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের শুরু থেকেই নাকে নেওয়ার এই করোনার টিকা ব্যবহারের জন্য সহজলভ্য হবে।
এদিকে ট্রায়াল সফল হলে টিকাটি উৎপাদন মূল্যে কিনতে পারবে বাংলাদেশ। এমনকি দেশেও এটি উৎপাদন করা যাবে। জাতির পিতার নাম অনুসারে এই টিকার নাম ‘বঙ্গবন্ধু আইএসআর’ রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে মানুষের ওপর ট্রায়ালের জন্য আইএসআর ইতোমধ্যে কন্ট্রাক্ট রিসার্চ অর্গানাইজেশন (সিআরও) হিসেবে বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালস লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে। রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকাটির ট্রায়াল পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথম ধাপে ১৮০ জন সুস্থ মানুষের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হবে।
গত ২৬ জুলাই বিবিসির এক প্রতিবেদনে আইএসআর প্রতিষ্ঠাতা সুইডেনের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের ইমিউনোলজির প্রফেসর ওলা উইনকুইস্টের উদ্ধৃতি তুলে ধরা হয়। যেখানে বলা হয়, এই টিকার গেমচেঞ্জিং অবস্থান হলো— এটি তাপানুকূল পরিবেশে না রেখেই খুব সহজে বিতরণ করা যাবে। স্বাস্থ্যকর্মী না থাকলেও এটি প্রয়োগ করা যাবে।’
আরও পড়ুন: করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যা বলছে
এদিকে এ বিষয়ে গত ১৩ আগস্ট সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুগদা জেনারেল হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।
তিনি বলেন, নাক দিয়ে নেওয়া যায় এ টিকা আবিষ্কার হলে টিকার ধারণাই পরিবর্তন হয়ে যাবে। পাউডারজাতীয় এ টিকা পরিবহন, সংরক্ষণেও তেমন ঝামেলা নেই। এই টিকা ফ্রিজেও রাখতে হবে না। টিকাদান কেন্দ্রে যেতে হবে না, সুঁই লাগবে না। এটি পুরোপুরি গ্রিন টেকনোলজি। শুধু তাই নয়, এ টিকা করোনা সব ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেই প্রায় শতভাগ কার্যকর।
আলোকিত চট্টগ্রাম