এক পশলা বৃষ্টিতেই সড়কে পানি—ডুবে গেল চলন্ত গাড়ি

সকাল থেকে রোদ ঝলমল আকাশ। নগরের প্রধান দুটি ঈদ জামাতও শেষ হলো নির্বিঘ্নে। কিন্তু এর পরপরই হঠাৎ বৃষ্টি। এক পশলা বৃষ্টিতে সবকিছু ওলট-পালট। কোথাও হাঁটুপানি, তো কোথাও জলজট। এর মধ্যেই পানিতে ডুবে গেছে রিকশা, অটোরিকশাসহ প্রাইভেটকার!

এদিকে শুক্রবার (১৪ মে) সকাল ১০টা থেকে ঘণ্টা দেড়েকের বৃষ্টিতে ডুবে গেছে নগরের অধিকাংশ সড়ক। এতে ম্লান হয়ে যায় ঈদের আনন্দটাও।

সরেজমিন দেখা গেছে, সকাল সাড়ে ১১টায় নগরের সিএসসিআর হাসপাতাল থেকে প্রবর্তক মোড় পর্যন্ত সড়ক হাঁটুপানিতে ডুবে আছে। ঈদের ছুটির কারণে সড়কে যানবাহন চলাচল সীমিত থাকলেও পানির কবলে পড়ে কয়েকটি প্রাইভেটকার প্রায় ডুবে যায়। ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বিকল হয়ে পড়ে বেশ কয়েকটি অটোরিকশা।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নগরে ২৪ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মধ্যরাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও সমুদ্র ও নৌ বন্দরে কোনো সতর্কতা সংকেত নেই।

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অধীনে সম্প্রতি প্রবর্তক মোড় সংলগ্ন খালের ওপরে নতুন কালভার্ট নির্মাণ এবং রাস্তা উঁচু করা হলেও পাল্টায়নি দৃশ্যপট। বরাবরের মতোই জলজটের শিকার হতে হচ্ছে সড়কে চলাচলকারীদের।

জলজটের এ চিত্র ছিল মুরাদপুর, চকবাজার, ডিসি রোডসহ নগরের সব নিচু এলাকার। এসব এলাকার সড়কগুলো ডুবে ছিল হাঁটুপানিতে।

এদিকে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে এখনো নগরের বেশ কয়েকটি খালের সংস্কারকাজ চলছে। খালগুলোর মুখ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এছাড়া নগরের অনেক খাল ময়লা-আবর্জনায় ফুলে ফেঁপে উঠেছে। নালা-নর্দমা সম্প্রসারণ করা হলেও প্রতিনিয়ত ময়লা জমে ফের আগের রূপে ফিরে গেছে এগুলো।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনেই বর্ষা মৌসুম। দ্রুত নালা ও খালগুলোর আবর্জনা নিষ্কাশন না হলে বড় দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে নগরবাসীর জন্য।

ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!