গভীর নিম্নচাপের বৃষ্টিতে নগরে জলজট, পথে পথে ভোগান্তি

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকেই নগরে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির এ তীব্রতা বাড়ে রাতে। যার ধারাবাহিকতা আছে রোববার (১৯ সেপ্টম্বর) সকালেও। এ অবস্থায় দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে স্কুল ও অফিসগামী মানুষকে।

নগরের অনেক এলাকায় পানি জমে যাওয়ায় এ দুর্ভোগ আরও চরম আকার ধারণ করে। সড়কে সকাল থেকেই যান চলাচল খুবই কম। রিকশা-অটোরিকশার সংখ্যাও হাতে গোনা। যে কারণে বাইরে বের হওয়া মানুষজনকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। নদী তীরবর্তী এলাকায় দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে বন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আরও পড়ুন: ৩৪ ঘণ্টায়ও খোঁজ মেলেনি ‘বৃষ্টির পানিতে’—ভেসে যাওয়া লোকের

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, গত সপ্তাহে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি ভারতের দিকে সরে গিয়ে আস্তে আস্তে একেবারেই দুর্বল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে মিশে গেছে। এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। তাই চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে বৃষ্টিত নগরের নিচু এলাকায় পানি জমে গেছে। সড়কেও দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। গত ২৬ আগস্ট ভারী বর্ষণের সময় মুরাদপুরে ছালেহ আহমদ নামে এক পথচারী নালায় ডুবে মারা যায়। আজও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: মধ্যরাতের বৃষ্টিতে পানির নিচে চট্টগ্রাম

আবহাওয়া অফিস বলছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয়। এটি উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় আছে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

এসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!