‘হঠাৎ বৃষ্টিতে’ রাস্তা—অলিগলিতে হাঁটুপানি, খোলা মাঠ যেন পুকুর

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে বৃষ্টির অপর নাম জলাবদ্ধতা। এ নিয়ে নাকাল নগরবাাসী। মাঝারি বৃষ্টিতেও নগরের নিম্নাঞ্চলের রাস্তা ও অলিগলি ডুবছে। বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে থাকছে সকাল-রাত পর্যন্ত।

মঙ্গলবার রাত থেকে মুষলধারে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে নগরের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে আবারও সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার। এতে সকাল থেকে দুর্ভোগে পড়েন চাকরিজীবীসহ বাইরে বের হওয়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

নগরের দু’নম্বর গেট এলাকার চিত্র

এদিকে নগরের বিভিন্ন এলাকার জলাবদ্ধতার ভিডিও এবং ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে। ব্যবহারকারীদের অনেকেই তুলে ধরেছেন দুর্ভোগের নানা ছবি, করেছেন নানা মন্তব্যও।

আরও পড়ুন: নগরের রাস্তায় ‘নদী’ দেখল চট্টগ্রাম, ঘরের খাটে ‘দ্বীপ’

বুধবার (২৫ আগস্ট) নগরের বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে জলাবদ্ধতার চিত্র। কোথা হাঁটু, আবার কোথাও কোমর সমান পানি। বাসার সামনের খোলা জায়গা পরিণত হয়েছে পুকুরে।

নগরের চকবাজার, পশ্চিম বাকলিয়া, কাপাসগোলা,  বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, দু’নম্বর গেট, আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকায় হাঁটু থেকে কোমর সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার নিচতলার বাসাবাড়ি-দোকানপাট ও মার্কেটে পানি ঢুকে পড়েছে। এ সময় পানিবন্দি হয়ে পড়ে এলাকার বাসিন্দারা।

নগরের কে বি আমান আলী রোডে খাল থেকে তুলে রাখা ময়লা পানিতে ভাসছে

এছাড়া অফিসগামীসহ অন্যান্য কাজে বের মানুষদের পায়ে হেঁটে ও রিকশায় অতিরিক্ত গুণে গন্তব্যে যেতে হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হয়েছে কর্মজীবী মহিলাদের।

এদিকে জলাবদ্ধতার কারণে রাস্তায় পরিবহণ সংকট দেখা যায়। নগরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে নারী-পুরুষদের গাড়ির অপেক্ষায় থাকতে চোখে পড়ে। এছাড়া বিভিন্ন যানবাহনের ইঞ্জিনে পানি ঢুকে রাস্তার মাঝপথে বিকল হয়ে তৈরি হয় যানজটের। সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চালকদের দুর্ভোগে পড়তে হয় বেশি।

আরও পড়ুন: নগরের রাস্তায় ‘নদী’ দেখল চট্টগ্রাম, ঘরের খাটে ‘দ্বীপ’

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আকতার কামাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অফিসের যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি গলিতে হাঁটু পানি। এরপর রাস্তায় এসে আটকে পড়ি। পানির পরিমাণ এত বেশি যে কোনোভাবেই যাওয়ার উপায় নেই। রিকশা ভাড়া হাঁকছে দ্বিগুণ। গণপরিবহণের সংখ্যাও ছিল কম।

হালিশহর রঙ্গিপাড়ায় পাড়ায় চলাচলে মানুষের দুর্ভোগ

ব্যবসায়ী মোরশেদুল আলম বলেন, অল্প বৃষ্টিতে বাকলিয়া কে বি আমান আলী রোডে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কারণ নালা-নর্দমাগুলো সময়মত পরিস্কার করা হয় না। নালা ভরাট থাকলে পানি কিভাবে নিষ্কাশন হবে?

নগরের কে বি আমান আলী রোডের বাড়ির সামনের একটি খালি জায়গা পরিণত হয়েছে পুকুরে

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এটি আরও ২ দিন অব্যাহত থাকতে পারে। বুধবার সকাল নয়টা পর্যন্ত ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামে।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!