করোনায় লড়তে চট্টগ্রামে নতুন ‘ছক’, রেকর্ডের দিনে ‘হাইপ্রোফাইল’ বৈঠক

রেকর্ড শনাক্তের দিনে চট্টগ্রামে করোনাযুদ্ধে পুরনো ছকই আরেকবার নতুন করে এঁকেছেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। ‘হাইপ্রোফাইল’ এক অনলাইন জুম বৈঠকে সরকারের নীতি-নির্ধারকরাও সায় দিয়েছেন তাতে।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক সময়ে সর্বোচ্চ ৭১৩ জন করোনা শনাক্তের খবর জানায় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।

এদিন দুপুরেই এক অনলাইন (জুম) সমন্বয় সভায় মিলিত হন জাতীয় ও স্থানীয় প্রশাসনের শীর্ষ নীতি-নির্ধারকরা। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এতে সভাপতিত্ব করেন।

সভায় চট্টগ্রামের বেশ কয়েকজন সাংসদ, সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বিসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপস্থিত একটি সূত্র জানায়, কয়েক ঘণ্টার এ বৈঠকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনসহ স্থানীয় প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা চট্টগ্রামের করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। একইসঙ্গে তারা পরবর্তী করণীয় নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনার কথাও জানান।

সভার শেষদিকে সভাপতির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী সার্বিক করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন এবং চট্টগ্রামের স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বেশকিছু নির্দেশনা দেন।

নিত্যপণ্যের বাজার ও কোরবানির পশুর হাটে স্বেচ্ছাসেবী

আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে নগরে এখন পর্যন্ত কোনো কোরবানির পশুর হাটের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে সভায় জানান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান।

একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পশুর হাটগুলোতে এবার ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবেন বলেও জানান তিনি।

এছাড়া চট্টগ্রামের নিত্যপণ্যের বাজার ও নগরের বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমও তুলে ধরেন জেলা প্রশাসক।

উত্তর চট্টগ্রামে বিশেষ দৃষ্টি

সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর চট্টগ্রামে করোনা রোগী বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির প্রতি গুরুত্বারোপ করে তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে এ ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

আইসোলেশন সেন্টার ও বিশেষায়িত হাসপাতাল

চট্টগ্রামে করোনাযুদ্ধের সক্ষমতা বাড়াতে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের পাশাপাশি আরও দুটি বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। নগরের হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল ও রেলওয়ে হাসপাতাল করোনার বিশেষায়িত চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত জানিয়ে তিনি বলেন, রোগীর ভিড় বাড়লে এই দুই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করানো হবে।

এদিকে নগরের জেনারেল হাসপাতালে করোনার শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। সিভিল সার্জন বলেন, প্রয়োজনে হাসপাতালটির করোনা ইউনিটকে ২০০ শয্যায় উন্নীত করা হবে।

এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আইসোলেশন সেন্টার আবার চালু করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি।

জেডএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!