দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৮ আগস্ট) মহানগর দায়রা জজ ও স্পেশাল জজ বেগম জেবুননেছা শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে সরফরাজের পক্ষ থেকে জামিন আবেদন করা হলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জনের পাশাপাশি ওই সময় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এ সময় হাসপাতালের জন্য একটি এমআরআই মেশিন কিনেন ৬ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকায়। কিন্তু এর বাজারমূল্য ছিল ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: বৌ—মেয়েকে মেরে জেলে গেল পরকীয়ায় মগ্ন চকবাজার থানার পুলিশ
অন্যদিকে ৯৮ লাখ টাকা দামের চারটি কালার ড্রপলার কেনা হয় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকায়। রক্ত পরিসঞ্চালনের জন্য জার্মানির একটি ব্লাড ওয়ার্মার মেশিন কেনা হয় ৯ লাখ ৩২ হাজার টাকায়। কিন্তু বাজারে এ ধরনের মেশিনের মূল্য ১৫ হাজার টাকার বেশি নয়।
এদিকে কান পরীক্ষার জন্য অটোস্কোপ মেশিনের বাজারে দাম পড়ে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু হাসপাতালে অটোস্কোপ মেশিন সরবরাহ করা হয় ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকায়।
এভাবে বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি দাম দেখিয়ে ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর ৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন দুদক সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম ১-এর সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল হক।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. মো. আব্দুর রব, জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক সার্জারি) ডা. মো. মইন উদ্দিন মজুমদার, সিনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. বিজন কুমার নাথ, যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মো. জাহের উদ্দিন সরকার, মেসার্স আহম্মদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সী ফারুক হোসেন এবং এএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও আফতাব আহমেদ।
চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের প্রধান কার্যালয়ে চার্জশিট অনুমোদনের জন্য জমা দিলে তা অনুমোদন হয়।