চট্টগ্রামে করোনা : ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফে মৃত্যুর আঘাত

চট্টগ্রামে করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। কোনোভাবেই কমছে না শনাক্ত। টানা দুদিন শনাক্তের সংখ্যা নয়শর ওপর। সেইসঙ্গে টানা দুদিন আঘাত হেনেছে মৃত্যুও।

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৩ হাজার ৫৩ নমুনায় ৯৩০ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়ে। শনাক্তের হার ৩০.৪৬ শতাংশ।

এ সময়ে আরও এক করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তি নগরের বাসিন্দা।

আরও পড়ুন : হু হু করে বাড়ছে করোনা—পরামর্শক কমিটির ৫ সুপারিশ

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের ৭৫৬ জন নগর ও ১৭৩ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

আগের দিন শনাক্ত হয়েছিল ৯৮৯ জন। শনাক্তের হার ছিল ৩০.৯৮ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পাঠানো প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বিআইটিআইডি ল্যাবে ৬২৬ নমুনায় ১৭৭ জন, শেভরনে ৪৫৬ নমুনায় ৯৪ জন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৫৬ নমুনায় ১১১ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ২৮৫ নমুনায় ১২৪ জন, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৭৯ নমুনায় ৫০ জন, ইপিক হেলথ কেয়ারে ২৫২ নমুনায় ১৬৮ জন, শাহ আমানত বিমানবন্দরে ২৩৪ নমুনায় ১৭ জন, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১৬৮ নমুনায় ২৩ জন, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১৪৮ নমুনায় ২৬ জন, এন্টিজেন টেস্টে ৮৭ নমুনায় ৪৮ জন, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৮০ নমুনায় ৫৫ জন, আরটিআরএলে ৭৭ নমুনায় ৩৪ জন এবং ল্যাবএইডে ৫ নমুনা পরীক্ষায় ৩ জনের করোনা পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন : সুনামি গতির করোনায় ‘তছনছ’ চট্টগ্রাম

তবে এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

উপজেলার মধ্যে সীতাকুণ্ড ৪২ জন, বোয়ালখালী ২৩ জন, হাটহাজারী ১৬ জন, রাউজান ১৫ জন, সাতকানিয়া ১৩ জন, রাঙ্গুনিয়া ১৩ জন, পটিয়া ১০ জন, লোহাগাড়া ১০ জন, ফটিকছড়ি ১০ জন, সন্দ্বীপ ৯ জন, মিরসরাই ৪ জন, বাঁশখালী ৪ জন, আনোয়ারা ৩ জন এবং চন্দনাইশে ১ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিন কর্ণফুলী উপজেলায় কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।

চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত আক্রান্ত ১ লাখ ৮ হাজার ৩৭৬। যার ৭৯ হাজার ২৪ জন নগর এবং ২৯ হাজার ৩৫২ জন উপজেলার বাসিন্দা।

মোট মৃত্যু ১ হাজার ৩৪৩ জন। যার ৭২৮ জন নগর এবং ৬১৪ জন উপজেলার বাসিন্দা।

ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!