‘হিন্দু নির্যাতন’—এভাবেই একদিন হিন্দুশূন্য হয়ে যাবে বাংলাদেশে

খুলনায় মন্দির ও দোকান-বাড়িতে হামলা এবং সাভারে অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মনকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ঐক্যবদ্ধ সনাতন সমাজ।

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে মানববন্ধনে খুলনার রূপসা উপজেলার শিয়ালী গ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের চারটি মন্দির ও দোকান-বাড়িতে হামলায় ক্ষোভ জানানো হয়। এছাড়া ঢাকার সাভারে অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মনকে হত্যার প্রতিবাদ জানানো হয়।

সংগঠনের সমন্বয়ক অশোক চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক দেবাশীষ পালিত, রমনা কালী মন্দিরের উপদেষ্টা মিলন শর্মা, ঐক্যবদ্ধ সমাজের সমন্বয়ক দেবাশীষ আচার্য্য, সনাতন জাগরণ সংঘ সভাপতি কাঞ্চন আচার্য্য, জাগো হিন্দু পরিষদের জেলা সভাপতি রুবেল কান্তি দে, বিশ্ব সনাতন ঐক্যের সমন্বয়ক বিপ্লব পার্থ, প্রণব মঠ-চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শুভাশীষ শর্মা, প্রবর্তক ইসকন শ্রীকৃষ্ণ মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্য স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারী, ঐক্যবদ্ধ সনাতন সমাজের সমন্বয়ক ডা. যীশু দেব, বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটির সহসভাপতি ডা. কথক দাশ, শিমুল দাশ, হিন্দু মহাজোটের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট যীশু কৃষ্ণ রক্ষিত, ঐক্যবদ্ধ সনাতন সমাজের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হিরু সুশীল, শারদাঞ্জলি ফোরাম জেলার সভাপতি অজিত শীল, সাধারণ সম্পাদক পিয়াল শর্মা, নন্দনকানন রাধামাধব মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তারননিত্য দাস ব্রহ্মচারী, বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক বিকাশ দাশ, উত্তম দে, ভ্রাম্যমাণ গীতা সংঘের সুদীপ শর্মা, ঐক্যবদ্ধ সনাতন সমাজের সদস্য সুমন সরকার, জাগো হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক টিটু শীল, অ্যাডভোকেট জুয়েল চন্দ্র দাশ, তপন ধর, অজয় দত্ত, সুজন দাশ, লিংকন তালুকদার, শিল্পী চৌধুরী, জয়া বল, দেবী পরিষদের মুক্তা চক্রবর্তী ও প্রান্তী ভট্টাচার্য্য।

আরও পড়ুন: ইসকনের ২৬ জনের ‘কাঁধে উঠল’ প্রবর্তক সংঘের মামলা

সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সনাতন সংগঠনের সদস্য অ্যাডভোকেট রাজীব দাশ বাবু ও অ্যাডভোকেট মিথুন বিশ্বাস।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। খুলনার রূপসা উপজেলার শিয়ালী গ্রামে সনাতনীদের মন্দিরে হামলা, ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। সাভারে অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দুরা নির্যাতিত হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে একদিন বাংলাদেশ হিন্দুশূন্য হয়ে যাবে।

বক্তারা আরো বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হিন্দুদের নিয়ে কটূক্তি করা হয়, উস্কানিমূলক বক্তব্য ছড়ানো হয়। যা খুবই দুঃখজনক। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে হিন্দুদের জমি দখল করা হয়, তাদেরকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়। এসব বিষয়ের মূল কারণ বের করে সমাধান না করলে বাংলাদেশ মৌলবাদীদের দখলে যেতে বেশিদিন লাগবে না।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!