পাহাড় কেটে বহুতল ভবণ নির্মাণ ও ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) ছাড়া কারখানা চালু রাখাসহ পরিবেশের ক্ষতি করায় ৪ লাখ ২১ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা গুনলেন ৫ ব্যক্তি।
বুধবার (১৮ আগস্ট) পরিবেশ অধিদপ্তর মহানগর কার্যালয়ে শুনানিতে এ জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘এপিক প্রপার্টিজ’ চকবাজারে পাহাড় কেটে সর্বনাশ, হাজতে গেল ৪ লোক
জানা গেছে, বায়েজিদ বোস্তামী থানার সমবায় আবাসিক প্রকল্প এলাকায় ৭৩১ বর্গফুট পরিমাণ পাহাড় কেটে সমতল করে ভবন নির্মাণের কাজ করছিলেন নাসির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ১৭ আগস্ট পরিবেশ অধিদপ্তর মহানগর কার্যালয়ের উপপরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক সরেজমিনে তদন্ত করে পাহাড় কাটার সত্যতা পান।
সেই সঙ্গে নাসির পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ করছিলেন। ইতোমধ্যে তিনি ভবনের ১০ তলা পর্যন্ত তুলেও ফেলেছেন! এ অবস্থায় সমবায় আবাসিক প্রকল্প রোড নং-৪, বাড়ি নং-৫৯ নওফেল ভিলা নুরুল ইসলামের ছেলে নাসির উদ্দিনকে ২ লাখ ৪৬ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
বায়েজিদ বোস্তামীর নাসিরাবাদ শিল্প এলাকায় ৯ নম্বর ব্লকে ইটিপি স্থাপন ছাড়া কারখানা চালু রাখার দায়ে আল্লামা ওয়াশিং প্লান্টের মালিক মো. জিয়াউর রহমানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ৪ নম্বর ব্লকের ফেব্রিক্স কালেকশনের মালিক এমদাদ আলী গুনেন ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা।
আরও পড়ুন: ‘পাহাড় কেটে’ ভবন—‘ডকইয়ার্ডে’ পরিবেশ নষ্ট, জরিমানা গুনল ৮ লাখ টাকা
ছাড়পত্র ছাড়া কারখানা স্থাপনের দায়ে বায়েজিদ বোস্তামী দি নাগরিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির মেগা ফার্নিচারের মালিক মো. রফিকুল ইসলামকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া বহুতল ভবন নির্মাণের দায়ে মাজহারুল ইসলামকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সিএম/ডিসি