চমেক হাসপাতালে সরকারি ওষুধ চুরি, পুলিশের জালে ৩ ওয়ার্ড বয়

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সরকারি ওষুধ চুরি করে পাচারের সময় তিনজন স্পেশাল ওয়ার্ড বয়কে হাতেনাতে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (১১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতাল এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা মূল্যের স্যালাইন, জাইলোজেল ২%, জেসোকেইন, জেড-লিডোকেইন, ভ্যাকসিটেট-আইজি, ডায়াবেটিস মাপার যন্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ সরকারি ওষুধ জব্দ করা হয়।

আরও পড়ুন: ওষুধ চুরি—চট্টগ্রাম মেডিকেলের ওষুধ চোর ধরে পুরস্কার পেল পুলিশ

আটকরা হলেন- চমেক হাসপাতালের স্পেশাল ওয়ার্ড বয় দিলীপ কুমার নাথ (৪৫), আশীষ দাশ (৪৫) ও পলাশ ধর (৩২)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চমেক হাসপাতালে সরকারি ওষুধ চুরির ঘটনায় ৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সুমন নামে একজনকে আটক করা হয়। তাকে আটকের ঘটনায় করা মামলার তদন্তে নেমে আজ (সোমবার) সকালে সরকারি ওষুধসহ হাতেনাতে তিন ওয়ার্ডবয়কে আটক করা হয়।

যোগাযোগ করা হলে চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) নুরুল আলম আশেক আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, সরকারি ওষুধ চুরির ঘটনায় গত ৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) একজনকে আটক করা হয়। পরে এ ঘটনায় করা মামলার তদন্তে নেমে আজ (সোমবার) সকালে চুরি করা সরকারি ওষুধসহ হাসপাতালের তিনজন স্পেশাল ওয়ার্ড বয়কে আটক করা হয়েছে। বাকি সদস্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন: ক্ষতিকর ৮ ওষুধের নিবন্ধন বাতিল করল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর

প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারি হাসপাতাল থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকার সরকারি ওষুধ চুরির ঘটনায় হাসপাতালের গোলচত্বর থেকে দুজনকে আটক করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। আটকরা হলেন- হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কর্মচারী আশু চক্রবর্তী এবং আউটসোর্সিং কর্মচারী মো. সৈয়দ।

এ ঘটনায় চমেকের স্টোর অফিসার ডা. মো. হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) অভিযানে নামে দুদক।

এএইচ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!