মিরসরাইয়ে মো. আবু ইউসুফ (৪০) নামে এক শিক্ষককে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে সাবেক এক স্কুলছাত্রের বিরুদ্ধে। এসময় বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ইউসুফের ছোট ভাই আবু ইউনুছ।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসাধীন আহত ইউসুফ।
আবু ইউসুফ উপজেলার সাহেরখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি হাইতকান্দি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম হাইতকান্দি গ্রামের আব্দুল হক মাস্টার বাড়ির মৃত আবুল কালামের ছেলে।
এ বিষয়ে ভাই ইউনুছ জানান, ২০২১ সালে সাহেরখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ইউনুস শ্রেণিকক্ষে গোলযোগ করায় তার বিরুদ্ধে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক নাদেরুজ্জামান আজাদকে অবহিত করেন আবু ইউসুফ। তখন প্রধান শিক্ষক ওই ছাত্রকে ডেকে শাসন করেন। এরপর থেকে ভাইয়া বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে গালিগালাজ এবং হুমকি দেয় ওই ছাত্র।
আরও পড়ুন: চায়ের দোকানের সামনে যুবককে দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছিল কালু ডাকাত
গত রোববার বিকেল ৪টায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সাবেক ছাত্র ইউনুসসহ আরও কয়েকজন ভাইয়ের পথ গতিরোধ করে হামলা শুরু করে। পরে বিষয়টি সাবেক প্রধান শিক্ষক নাদেরুজ্জামান আজাদকে অবহিত করে তার বাড়ি থেকে ফেরার পথে বিকেল সাড়ে ৫টায় আবারও হামলা করে তারা। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ইউনুস, তার বাবা নুরুল হক, ভাই ইলিয়াছ, মা রোকেয়া, বোন তানজিনাসহ আরও কয়েকজন মিলে আমাদের বাড়িতে এসে ভাইকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এসময় বাঁচাতে গেলে আমার হাতেও কোপ দেয় তারা। পরে ভাইকে উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রোববার রাতে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাহেরখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেজবাউল হক বলেন, আমি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়েছি বেশিদিন হয়নি। যতটুকু জেনেছি ২০২১ সালে ইউনুস নামে ওই ছাত্র গোলযোগ করার কারণে তাকে শাসনের জের ধরে শিক্ষক আবু ইউসুফের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে দোষীদের শাস্তির দাবিতে কর্মসূচি পালন করা হবে।
যোগাযোগ করা হলে মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, হাইতকান্দিতে এক শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনা শুনেছি। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।