‘মৃত্যু’ শুনেই স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে ফেলে পালালো যুবক

নিজ বাড়ি থেকে জ্ঞানশূন্য স্ত্রীর নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান আবদুল জব্বার। চিকিৎসকরা মৃত্যু নিশ্চিত করতেই স্ত্রীর লাশ রেখে পালিয়ে যান তিনি।

এরপর রাতে পুলিশ গিয়ে মিনু আরা বেগম (২৫) নামের ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে।

ঘটনাটি ঘটেছে লোহাগাড়ার কলাউজানের বাংলাবাজার মিয়াজিপাড়ায়। মিনু লামার সরইয়ের মেইচ্ছ্যা ঝিরি এলাকার আবুল হাশেমের মেয়ে।

আরও পড়ুন: মৃত্যু—ঘুরপাক খাচ্ছে হত্যা না আত্মহত্যায়

জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকালে নিজ বাড়ি থেকে স্ত্রী মিনুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান জব্বার। চিকিৎসকরা মিনুকে মৃত ঘোষণা করলে মরদেহ রেখে পালিয়ে যান জব্বার।

মিনু আরার মা নুরুন্নেছা বেগম বলেন, ছয় বছর আগে জব্বারের সঙ্গে বিয়ে হয় মিনুর। এরপর থেকে শ্বশুড়বাড়ির লোকজন তাকে নির্যাতন করতো। বৃহস্পতিবার জব্বার ফোনে জানায়, মিনু গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মরদেহ রয়েছে। আমরা দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে মিনুর মরদেহ দেখতে পাই। তখন তার শ্বশুরবাড়ির কাউকে দেখা যায়নি। আমার মেয়েকে তার স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকজন হত্যা করেছে।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!