বড় ভাইয়ের পর ফাঁসিতে ঝুলল কলেজছাত্র ছোট ভাইও, নেপথ্যে ‘প্রেম’

নগরে প্রেমের কারণে অরিত্র দাশ (২১) নামে এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি মহসিন কলেজের এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

অরিত্র দাশ আসকারদিঘীর পাড় কাঁচাবাজার সংলগ্ন এলাকার স্বপন ঘোষের ছেলে। ৯ বছর আগে অরিত্রের বড় ভাইও প্রেমঘটিত কারণে আত্নহত্যা করেছিলেন।

জানা যায়, বুধবার (৩১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ বাসায় সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অরিত্র। রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

অরিত্র দাশের ক্যাম্পাসের বড় ভাই যুবরাজ দাশ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, মূলত প্রেমঘটিত কারণে হতাশায় পড়ে আত্মহত্যা করেছেন অরিত্র দাশ। ক্যাম্পাসের একই শিক্ষাবর্ষের বাণিজ্য বিভাগে পড়ুয়া এক মেয়ের সাথে দীর্ঘদিন ধরে তার প্রেমঘটিত বিরোধ চলছিল। মেয়েটি পাত্তা না দেওয়ায় এর আগেও বেশ কয়েকবার আত্নহত্যার চেষ্টা করেন অরিত্র।

এর আগে অভয়মিত্র ঘাট ও নিজ বাসায় অরিত্র দাশ আত্নহত্যার চেষ্টা করলে আমরা তাকে বুঝিয়ে ওই পথ থেকে ফিরিয়ে আনি। গতরাতে ওই নারী শিক্ষার্থীর সাথে অরিত্রের কনভারসেশন থেকে ধারণা করা হয়, হতাশা ও অপমান সইতে না পেরেই ফাঁসিতে ঝুলে আত্নহত্যা করেন অরিত্র দাশ— যোগ করেন যুবরাজ।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নারী—মদের ‘রঙ্গমঞ্চ’ এসআই হেলালের, রেলের জায়গা দখলে ‘ভাড়া ঘর’ বাণিজ্য

তিনি বলেন, অরিত্র দাশের সঙ্গে ওই নারী শিক্ষার্থীর সর্বশেষ কনভারসেশনে দেখা যায়— ওই নারী শিক্ষার্থী অরিত্র দাশকে বলেন, ‘কুত্তার বাচ্চা তুই অনেকবার মরতে চাইছস, তুই মরতেছসও না, উল্টো আমাকেও জ্বালায় মারতেছস।’ ধারণা করা হচ্ছে এরপরই আত্মহত্যা করেন অরিত্র।

এদিকে আত্নহত্যার থানায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দেয়নি নিহতের পরিবার। বর্তমানে অরিত্রের লাশ চমেক হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।

এআইটি/এসআই

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!