বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বাংলাদেশ চাপ্টারের কার্যক্রমে দিল্লির কড়া বার্তা, নিষেধাজ্ঞা

বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বাংলাদেশ চাপ্টারের কার্যক্রমে কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল, সুবীর কান্তি সাহা, লিটন কৃষ্ণ দাসসহ আরও কিছু ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

রোববার (২৭ আগস্ট) বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নয়াদিল্লির আন্তর্জাতিক সদর দপ্তরের যুগ্ম মহাসচিব স্বামী বিজ্ঞানানন্দ স্বাক্ষরিত এক নোটিসে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়, আমরা কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল, সুবীর কান্তি সাহা, লিটন কৃষ্ণ দাস এবং অন্যান্য যারা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নাম ব্যবহার করে সংগঠন পরিচালনা এবং নিবন্ধিত সংগঠনের দাবি করে তাদের বিষয়টির সমাধান করতে চাই।

আরও পড়ুন : এবার নিষেধাজ্ঞার খড়্গ বাণিজ্যিক ব্যাংকে

অভিযোগ করা হয়েছে, তারা ভারতের নয়াদিল্লিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক সদর দপ্তরের অংশ, সহযোগী বা সহযোগী হিসেবে তাদের সংযোগ জাহির করছে। নয়াদিল্লিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রধান কার্যালয়। ভারত স্বার্থহীনভাবে কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল, সুবীর কান্তি সাহা, লিটন কৃষ্ণ দাস এবং পূর্বোক্ত সংগঠনের অবস্থা স্পষ্ট করতে চায়। তাদের কেউ যে সংগঠনের সাথে তারা যুক্ত, তারা যেকোনো পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লি, ভারতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আন্তর্জাতিক সদর দপ্তরের অংশ, সহযোগী বা অনুমোদিত নয়। যেকেউ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নামে তহবিল দিতে বা সহায়তা দিতে চান তাদের ব্যক্তিগত ক্ষমতায় তা করা উচিত। নয়াদিল্লিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক সদর দপ্তর, ভারত তাদের কোনো কার্যক্রম বা দায়বদ্ধতার জন্য কোনো দায়বদ্ধতা রাখে না।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ভারতের একটি হিন্দুত্ববাদী সামাজিক সংগঠন। এটি ইংরেজি নামের আদ্যাক্ষর VHP দিয়েই বেশি পরিচিত। ১৯৬৪ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ দলের শাখা হিসেবে যাত্রা শুরু করে। দলটি হিন্দুত্ববাদী দলসমূহের মাতৃসংগঠন সংঘ পরিবারের অন্তর্গত। দলটির স্লোগান হলো- ‘ধর্ম রক্ষতি রক্ষিত, তথা ধর্মকে সুরক্ষা করলে ধর্ম বাঁচায়।’ এই দলের প্রতীক বটগাছ। বর্তমানে বিশ্বের ১২৫টিরও বেশি দেশে এ সংগঠনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কার্যক্রম বাংলাদেশে জয়েন্ট স্টক থেকে নিবন্ধিত (S-13059) ভিএইচপি ফাউন্ডেশন নামে পরিচালিত হয়ে আসছে। এই কমিটির সাত ব্যক্তি হলেন— এমএম ওবায়দুর রহমান (চেয়ারম্যান), কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল (মহাসচিব), বাদল কৃষ্ণ সাহা (কোষাধ্যক্ষ), সাধন কুমার দাস (সদস্য), লিটন কৃষ্ণ দাস (সদস্য), তুষার কান্তি গুহ (সদস্য) ও মিরন বিশ্বাস (সদস্য)।

এ বিষয়ে কথা বলতে সংগঠনের চেয়ারম্যান এমএম ওবায়দুর রহমান ও মহাসচিব কপিল কৃষ্ণ মণ্ডলের মুঠোফোন একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা কল রিসিভ করেননি।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!