বাঁশখালীতে বিজিবি, দুষ্কৃতিকারীদের খুঁজে বের করবে সরকার

কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাঁশখালীতে দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় অতিরিক্ত র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবার (১৩ অক্টোবর) বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সংঘটিত সংঘর্ষের ঘটনায় পুরো বাঁশখালীজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান ও জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে কয়েকটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাঁরা এলাকার মানুষকে গুজবে কান না দিয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।

জেলা প্রশাসক সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কোনো ধরনের মন্তব্য না করার জন্য সকল সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: মহানবমী—উৎসবের শেষ রাত আজ

বাঁশখালী পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি আশীষ কুমার শীল আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত অবধি বিক্ষোভ মিছিল থেকে কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল যুবক দফায় দফায় বাঁশখালী থানার সামনে কেন্দ্রীয় কালিবাড়িসহ কমপক্ষে ১৫টি দুর্গাপূজা মণ্ডপে হামলা চালিয়ে ভাংচূর করেছে।

চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল বাংলাবাজার জলদাসপাড়ার পূজামণ্ডপে একটি মূর্তি ভেঙেছে। এ কারণে এলাকার ৮৪টি মণ্ডপে মাইক ও বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রেখেছে পূজারীরা।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শনপূর্বক তদন্ত চলছে। বিভিন্ন স্থানের ভিডিও ফুটেজও মনিটরিং করা হচ্ছে। পশ্চিম চাম্বল বাংলা বাজার জলদাসপাড়ার পূজা মণ্ডপে প্রতিমা ভাংচূরের ঘটনা এবং নাপোড়া, শীলকূপসহ বিভিন্ন স্থানে মণ্ডপে হামলার ঘটনায় মণ্ডপ কর্তৃপক্ষ মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এদিকে বাঁশখালীর এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, হামলা, ভাংচূর, লুটপাট চালিয়ে কেউ রেহাই পাবে না। সরকার দুষ্কৃতিকারীদের খুঁজে বের করবেই। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে র‌্যাব পুলিশের পাশাপাশি দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আমি বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরিস্থিতি এখন প্রায় নিয়ন্ত্রণে।

উজ্জল/এসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!