পুলিশের ফাঁদে ৪ প্রতারক, ৩০ লাখ টাকার পণ্য গায়েবের চেষ্টা

মজিবুর রহমান ওরফে রিয়াল একজন ব্রোকার। ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চুক্তি করেন মালামাল পরিবহনের মাধ্যমে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার।

চুক্তি অনুযায়ী পণ্য গাড়িতে লোডও করেন। কিন্তু কিছুদূর যেতেই পাল্টে যায় গাড়ি। মুহূর্তেই অন্য গাড়িতে মালামাল লোড করে আত্মগোপনে চলে যান তিনি। এবার মজিবুর চেয়েছিলেন মদিনা গ্রুপের ৩০ লাখ টাকা মূল্যের ৩টি এসএস কয়েল আত্মসাৎ করতে। কিন্তু সদরঘাট থানা পুলিশের হাতে ৩ সহযোগী নিয়ে ধরা পড়তে হলো তাকে।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দুপুর ২টায় এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সদরঘাট থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ফেনী জেলার দক্ষিণ মন্দিরা এলাকার মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে মো. মজিবুর রহমান ওরফে রিয়াল (৩০), কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম মাস্টার বাড়ির আবু তাহেরের ছেলে মো. মাসুম (৩৪), ফেনী জেলার সিন্দুরপুর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সিরাজ উল্লাহ ছেলে মো. বাবুল মিয়া, নোয়াখালী জেলার দেবী সিংপুর এলাকার মৃত এতিম আলীর ছেলে মো. নুরুল হুদাকে (৪৬)।

সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) দক্ষিণ জোনের উপপুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক বলেন, ৩০ জুন মদিনা গ্রুপের ৮ হাজার ৬৭০ কেজি ওজনের ৩টি এসএস বড় কয়েল গাজীপুরে পৌঁছে দেওয়ার অর্ডার পায় লুপ ফ্রেইট লিমিটেড ট্রান্সপোর্টের ব্যবসায়ী আল মামুন মজুমদার। শর্ত অনুযায়ী তিনি ব্রোকার মজিবুর রহমানের মাধ্যমে ট্রাক ভাড়া করে পণ্যগুলো কদমতলী পোড়া মসজিদের সামনে থেকে লোড করে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা করেন।

কিন্তু মজিবুর গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা না হয়ে গাড়ির ড্রাইভারের যোগসাজশে কয়েলগুলো কেটে ৫৯টি রোল করে দোভাষ সড়কের চৌধুরী মার্কেটের নিচ তলার আমজাদ ব্রাদার্সের গোডাউনে মজুদ করেন। নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য না পৌঁছালে তাদের ওপর সন্দেহ হয়। তখন ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী আল মামুন তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে সদরঘাট থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা এসএস কয়েল আত্মসাতের কথা স্বীকার করে।

পরে তাদের কথা মতো পশ্চিম মাদারবাড়ি চৌধুরী মার্কেটের নিচ তলার আমজাদ ব্রাদার্সের গোডাউন থেকে ৫৯টি রোল উদ্ধার করা হয়।

সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াৎ হোসেন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, অভিযান চালিয়ে সদরঘাট, ডাবলমুরিং, হালিশহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা পণ্য আত্মসাতের কথা স্বীকার করে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আমিনুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) মো. মুজাহিদুল ইসলাম, সদরঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাখাওয়াৎ হোসেন, তদন্তকারী উপপরিদর্শক এসআই এনামুল হক, উপপরিদর্শক মো. নুর হোসেন, এএসআই মজুমদার, এএসআই নোমান সিদ্দিকী প্রমুখ।

এএইচ/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!