চট্টগ্রামে চান্দগাঁও থানা হেফাজতে মৃত্যু হওয়া সাবেক দুদক উপপরিচালক শহীদুল্লাহ’র স্ত্রী ফৌজিয়া আনোয়ারের করা মামলায় অভিযুক্ত তানিয়া সুলতানা প্রকাশ কলি আক্তারের (১৯) জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) চট্টগ্রামের মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।
তানিয়া সুলতানা প্রকাশ কলি আক্তার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কররিয়া মোড়া রোকিম আলী বাড়ির মো. সাইফুলের মেয়ে। তিনি নগরের এক কিলোমিটার এলাকায় থাকতেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির আবুল কালাম আজাদ।
এর আগে গত সোমবার (৬ নভেম্বর) শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা সেই রনি আক্তার তানিয়া আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে দুদক কর্তার মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, ফেঁসে যাচ্ছে সেই কথিত যুবলীগ নেতা জসিম
এদিকে এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করতে রনি আক্তার তানিয়াকে বাধ্য করা সেই কথিত যুবলীগ নেতা জসীম উদ্দীন। যার প্ররোচনায় থানায় মিথ্যা মামলা দায়েরসহ দ্রুত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।
এর আগে গত ৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টায় চকবাজার থেকে বাসায় ফেরার পথে চান্দগাঁও থানার চেয়ারম্যানঘাটা এলাকায় এএসআই ইউসুফ আলী ও সোহেল রানা সিভিল ড্রেসে এসে সাবেক দুদক কর্মকর্তা সৈয়দ মো. শহিদুল্লাহকে কলার ধরে টানাহেঁচড়া করে থানায় নিয়ে যান। এসময় চরম অপমানিত হওয়ার কারণে দুদকের এই সাবেক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ।
এ ঘটনায় গত ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালতে ফৌজিয়া আনোয়ার মামলার আবেদন করেন। সেদিন আদালত মামলাটি থানায় রেকর্ড করার নির্দেশের পাশাপাশি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
এরপর আদালতের নির্দেশে গত ১৮ অক্টোবর চান্দঁগাও থানায় মামলা করেন ফৌজিয়া আনোয়ার।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন— চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল ইসলাম, চান্দগাঁও থানার এএসআই মো. ইউসুফ, এএসআই সোহেল রানা, পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিবুর রহমান, চান্দগাঁও থানা এলাকার বাসিন্দা এসএম আসাদুজ্জামান (৫২), মো. জসীম উদ্দীন (৩৭), মো. লিটন (৪৮), রনি আক্তার তানিয়া (২৬) ও কলি আক্তার (১৯)।
আরএস/আরবি