চট্টগ্রামে ‘নিয়ন্ত্রণে’ করোনা

চট্টগ্রামে ‘নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে করোনা। টানা দুদিন ১ শতাংশের নিচে শনাক্তের হার। মৃত্যুতেও বজায় রয়েছে সাফল্যের ধারাবাহিকতা।

তবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছেছে শনাক্ত। অথচ আগের দিন (শুক্রবার) এক অঙ্কের ঘরে ছিল শনাক্ত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই ধরে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন : করোনা : চট্টগ্রামে দেড় সহস্রাধিক পরীক্ষায়ও শনাক্ত পৌঁছেনি দুই অঙ্কের ঘরে

গত ২৪ ঘণ্টায় নগরে ৯ জন এবং উপজেলায় ৪ জনসহ একদিনে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১৩ জন। তবে এদিন করোনা আক্রান্ত কেউ মারা যাননি। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ০ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

এদিন ৭ ল্যাবে ৬৪১ নমুনায় পরীক্ষায় শনাক্ত শূন্য। এছাড়া ১১ উপজেলায় কোনো করোনা রোগী পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার ১ হাজার ৫৮৭ নমুনায় শনাক্ত হয়েছিল ৯ জন। তবে ওইদিনও করোনা আক্রান্ত কেউ মারা যাননি। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ০ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

শনিবার (৫ মার্চ) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১২ ল্যাবে ১ হাজার ৪৫৮ নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনা : শনাক্ত বাড়লেও ‘শঙ্কা’ বাড়েনি

বিআইটিআইডিতে ১৯৪ নমুনায় ৩ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ৭৮ নমুনায় ২ জন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৬৬ নমুনায় ২ জন, শেভরনে ৩০৭ নমুনায় ৫ জন এবং ইপিক হেলথ কেয়ারে ৭২ নমুনায় ১ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে।

এছাড়া এদিন কারো এন্টিজেন টেস্টও করা হয়নি।

তবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ১২০, মেডিকেল সেন্টার হাসসপাতালে ১৩০, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৬৮, এশিয়ান স্পেশালাইড হাসপাতালে ২৬৬ ও এভারকেয়ার হসপিটালে ২৮ নমুনা পরীক্ষায় কারো করোনা শনাক্ত হয়নি।

এদিকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, আরটিআরএল, ল্যার এইড এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এদিন করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

উপজেলার মধ্যে বোয়ালখালী ১ জন, হাটহাজারী ১ জন ও মিরসরাইয়ে ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এদিকে সাতকানিয়া, ফটিকছড়ি, পটিয়া, লোহাগাড়া, আনোয়ারা, রাঙ্গুনিয়া, সীতাকুণ্ড, চন্দনাইশ, কর্ণফুলী, বাঁশখালী, রাউজান ও সন্দ্বীপ উপজেলায় এদিন কোনো করোনা রোগী পাওয়া যায়নি।

নগরে ৯১ হাজার ২২ জন এবং উপজেলায় ৩৪ হাজার ৫১০ জনসহ চট্টগ্রামে মোট শনাক্ত ১ লাখ ২৬ হাজার ৫৩২ জন। মোট মৃত্যু ১ হাজার ৩৬০। যার ৭৩৪ জন নগর এবং ৬২৬ জন উপজেলার বাসিন্দা।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!