দূষিত রুমে তৈরি হচ্ছিল ‘বিশুদ্ধ পানি’ ইভান ড্রিংকিং, অনুমোদনও নেই

অস্বাস্থ্যকর উপায়ে বোতলজাত করা হচ্ছিল বিশুদ্ধ পানি। তবে নামে বিশুদ্ধ হলেও সেই ফ্যাক্টরিতে নেই পানি বিশুদ্ধকরণের কোনো সুব্যবস্থা। আর এমনিভাবেই প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল পানির রমরমা ব্যবসা। শেষপর্যন্ত গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চালানো অভিযানে ধরা পড়ল হাতেনাতে।

বুধবার (১৪ জুলাই) সকালে নগরের ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া সৈয়দ শাহ রোডে ইভাইন ড্রিংকিং ওয়াটার নামক একটি পানির ফ্যাক্টরিতে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে এসব অনিয়মের চিত্র ধরা পড়ে। অনিয়মের দায়ে ইভাইন ড্রিংকিং ওয়াটারকে ১ লাখ জরিমানা করা হয়।

চট্টগ্রাম জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে ভোক্তা অধিকারের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার একটি দল ছিল।

জানা গেছে, এর আগেও ইভাইন ড্রিংকিং ওয়াটারকে একাধিকবার জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু আগের চিত্র পাল্টায়নি।

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা কার্যাল‌য়ের সহকারী প‌রিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘ইভান ড্রিংকিং ওয়াটারের অনুমোদন নেই। অস্বাস্থ্যকর উপায়ে তারা পানি বোতলজাত করছে। নামে বিশুদ্ধ হলেও ফ্যাক্টরিতে পানি বিশুদ্ধকরণের ব্যবস্থা নেই। বোতলজাত বিশুদ্ধ পানি বিক্রির নামে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করছে। এসব কারণে মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!