চট্টগ্রামে বিএনপি—পুলিশের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, এএসপি-ওসিসহ আহত ২৮

বাঁশখালীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে পুলিশ-বিএনপি মুখোমুখি সংঘর্ষে এএসপি (সার্কেল), ওসি, তদন্ত ওসি, ১১ পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ২৮ জন আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: নিউমার্কেটে সংঘর্ষ—খুন : লুকিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হলো না ৩ জনের

আহতদের মধ্যে দক্ষিণ জেলা ছাত্রদল সভাপতি শহীদুল হকও রয়েছেন। দক্ষিণ জেলা বিএনপি সভাপতি ও বাঁশখালীর সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে মিসকাতুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাদের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

অপরদিকে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, বিএনপির মিছিল থেকে নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা ও ইট-পাটকেল নিয়ে অতর্কিত পুলিশের ওপর হামলা করেছে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এএসপি (আনোয়ারা সার্কেল) মো. হুমায়ন কবির, ওসি মো. কামাল উদ্দিন, ওসি (তদন্ত) এসএম আরিফুর ইসলাম, এসআই নজরুল ইসলামসহ ১১ কনস্টেবল।

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, বিএনপি বাঁশখালীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেয়। ওই সমাবেশ পুকুরিয়া ইউনিয়নে করার কথা ছিল। কিন্তু বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ বিএনপির সমাবেশের খবর জেনে শুক্রবার সকাল থেকে পুরো বাঁশখালীর প্রধান সড়কে ইউনিয়নভিত্তিক নেতাকর্মীরা যার যার অবস্থানে সভা-সমাবেশের ডাক দিয়ে রাস্তা দখল করে রাখে।

বিএনপি এই খবর জানতে পেরে সমাবেশ আয়োজন করেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর পশ্চিম গুনাগরীর বাড়িতে।

বিকাল ৪টায় ওই সমাবেশ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তাদের বাড়ি হয়ে প্রধান সড়কে উঠার একপর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে। এসময় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের অধিকাংশ নেতাকর্মীদের হাতে লাঠিসোটা ছিল। এই সংঘর্ষ বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। অর্ধশতাধিক পুলিশ রাবার বুলেট ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঘটনার বিষয়ে জানতে বিএনপি নেতা জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর মোবাইলে বেশ কয়েকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

দক্ষিণ জেলা মহিলা দল সভাপতি জান্নাতুল নাঈম চৌধুরী বলেন, মিছিল নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা যাওয়ার পথে পুলিশ বাধা দিলে ইট-পাটকেল ছুঁড়েছে। অহেতুক পুলিশের ওপর হামলা করেনি। আমি অনেক চেষ্টা করেও সমাবেশের দিকে যেতে পারিনি।

ইউবি/এসআর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!