চট্টগ্রামে ‘পোকা’ দিয়ে খাবার দেয় ‘মেজ্জান হাইলে আইয়ুন’

দিন দিন অনলাইনে খাবার অর্ডার জনপ্রিয় হচ্ছে। এখন ঘরে বসেই অর্ডার করা যাচ্ছে পছন্দের যেকোনো রেস্টুরেন্টের মজাদার খাবার। তবে ঘরে বসে খাবার কিনে খাওয়ার সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাও কম নয়। রেস্টুরেন্ট থেকে ডেলিভারি করা খাবার নিয়ে প্রায়সময় শোনা যায় নানা অভিযোগ। ফেসবুকেও চলে সমালোচনার ঝড়। এবার পোকাসহ খাবার সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে নগরের নামিদামি এক রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে।

চট্টগ্রামে জনপ্রিয় রেস্টেুরেস্টের একটি হলো ‘বারকোড’। জনপ্রিয় এই বারকোড রেস্টুরেন্টের ওপর ভরসা রাখেন অনেক গ্রাহক। আবার এই বারকোডের মালিকানাধীন নগরের মোহাম্মদপুর এলাকার ‘মেজ্জান হাইলে আইয়ুন’ রেস্টুরেন্ট। এই রেস্টুরেন্ট থেকে অর্ডার করা খাবারেই পোকা পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন এক আইনজীবী গ্রাহক।

রোববার (২৭ নভেম্বর ) ‘ফুড গাইড ডিভিশন’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে ‘মেজ্জান হাইলে আইয়ুন রেস্টুরেন্টে অর্ডার করা খাবারে পোকা পাওয়ার পর হতাশা প্রকাশ করে পোস্ট করেন ওই গ্রাহক। এই পোস্টের নিচে খাবারের স্বাদ ও মান নিয়ে অনেক গ্রাহক আবার তির্যক মন্তব্য করেন।

যোগাযোগ করা হলে ভুক্তভোগী গ্রাহক আইনজীবী মো. বেলাল উদ্দিন চৌধুরী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আসলে এ ধরনের রেস্টুরেন্ট থেকে এমন খাবার কখনো কাম্য নয়। গ্রাহক হিসেবে অবশ্যই আমরা বেস্ট সার্ভিস চাই। আমি বিষয়টি সাজেশন হিসেবে ফেসবুকে পোস্ট করেছি, তবে অভিযোগ নয়। যাতে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ এসব বিষয় দ্রুত সমাধান করে এবং আরও বেশি সজাগ থাকে।

এদিকে সচেতন মহলের দাবি, মূলত দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতির পর থেকে শহরের বিভিন্ন নামিদামি রেস্টুরেন্টে ভেজাল-মানহীন খাবার বিক্রির ঘটনা বাড়ছে। ফলে অনেকেই এখন রেস্টুরেন্টে যাওয়া ও খাবারের অর্ডার করা বন্ধ করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বারকোড রেস্টুরেন্ট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মঞ্জুরুল হক আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, দুবাইসহ ৯টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে আমাদের। আজ প্রথম কোনো অভিযোগ শুনলাম। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আমাদের রেস্টুরেন্টগুলোর খাবার গ্রহণ করেন। যারা রেস্টুরেন্টে বসে খাচ্ছেন তাদের আমরা সামনাসামনি দেখভাল করছি এবং কোনো সমস্যা হলে দ্রুত সমাধান দিতে পারছি। কিন্তু ফুডপান্ডার মাধ্যমে যে খাবার যায় সেসব তো আর আমি দেইনি। এখন ফুডপান্ডা থেকে যে ডেলিভারি করেছে তার অন্য কোনো ইস্যু ছিল, নাকি রেস্টুরেন্টের খাবারে ঝামেলা ছিল তা আমি নিশ্চিত না। যদি গ্রাহক অভিযোগ করেন তাহলে বিষয়টি আমি দেখব৷

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে আমরাই একমাত্র রেস্টুরেন্ট যারা সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যকর খাবার সার্ভিস দিচ্ছি। আমাদের রেস্টুরেন্ট পুরোটাই সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আমরা সবসময় গ্রাহকদের কথা চিন্তা করি৷ গ্রাহকদের যদি আমরা খারাপ কিছু দিয়ে থাকি তাহলে তারা তো আর আসবেন না এবং আমার রেস্টুরেন্টও বন্ধ হয়ে যাবে৷ সেজন্য আমরা গ্রাহকদের সুবিধা কিংবা অসুবিধা সবসময় বিবেচনায় রাখি।

আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!