চট্টগ্রামে পুজোয় গভীর রাতেও দর্শনার্থীর ঢল

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার মহানবমী আজ (২৩ অক্টোবর)। আগামীকাল বিজয় দশমীতে বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে পাঁচদিনের দুর্গোৎসব। মহানবমীর রাতই উৎসবের শেষ রাত। এ রাতকে রঙিন করতে মুখিয়ে আছে সনাতনী শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণীরা।

আজ সকাল থেকে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে রয়েছে নানা আয়োজন। মায়ের পূজা ও পুষ্পাঞ্জলির পাশাপাশি অনেক মণ্ডপে সমবেত প্রার্থনা, যজ্ঞানুষ্ঠান ও মহাপ্রসাদের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আবার কিছু মণ্ডপে রয়েছে আলোচনা সভা, বস্ত্র বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এদিকে মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা গতকাল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্যের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। মহাষ্টমী উপলক্ষে ভক্তরা উপবাস থেকে মা দুর্গার কৃপা প্রার্থনা করে নেন পুষ্পাঞ্জলি।

প্রতিবছরের মতো এবারও পাথরঘাটা শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দিরে আয়োজন করা হয় কুমারী পূজার। এবার কুমারী পূজার আসন অলংকৃত করেন ৬ নামের ১১ কুমারী। এদের মধ্যে ভৈরবী নামে পূজিত হন ১২ বছরের পূজা দাশ, রুদ্রাণী নামে ১১ বছরের অস্মিতা সেন, কালসন্দর্ভা নামে ৯ বছরেমর সুভদ্রা বিশ্বাস, মালিনী নামে ৭ বছরের নিভৃতি দত্ত, তিথি দাশ, আদ্রিতা বিশ্বাস ও আদ্রিতা চৌধুরী, কুব্জিকা নামে ৮ বছরের পৌষালী রায় ও প্রীত ধর, অপরাজিতা নামে কৃত্তিকা চৌধুরী এবং কালসন্দর্ভ নামে আনমোল বণিক।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে এবার পুজোর আসনে ৬ নামের ১১ কুমারী

এদিকে মহাষ্টমীতে সন্ধ্যা থেকেই দর্শনার্থীর ঢল নামে নগরের পূজামণ্ডপে। জেএমসেন হল, কুসুমকুমারী স্কুল, চেরাগী পাহাড়, টেরীবাজার, হাজারী লেইন, নবগ্রহ বাড়ি, পাথরঘাটা, দক্ষিণ নালাপাড়া ও গোসাইলডাঙ্গায় প্রচুর দর্শনার্থী আসে। গভীর রাত পর্যন্ত ছিল দর্শনার্থীর এ ঢল।

রাত ১টায় নগরের দক্ষিণ নালাপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, শত শত দর্শনার্থী। মণ্ডপ থেকে শুরু করে দর্শনার্থীর সারি পৌঁছে গেছে একেবারে মূল সড়কের কাছাকাছি। নারী-পুরুষ পৃথক লাইনে ঘণ্টারও বেশি সময় দাঁড়িয়ে তবেই এই মণ্ডপে প্রবেশের সৌভাগ্য হয়। এই মণ্ডপে প্রবেশের পথ সরু হওয়ায় দর্শনার্থীদের বেগ পেতে হয়েছে। তবে এখানকার বিশাল স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!