চট্টগ্রামে কড়াকড়িতে শুরু ‘কঠোর বিধিনিষেধ’
চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে ১৪ দিনের ‘কঠোর বিধিনিষেধ’। নগরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়েছেন সেনা সদস্যরা। রাজপথে টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ শুরু হয়। যা চলবে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত।
সরেজমিন নগরের সিটি গেইট ও অলংকার এলাকায় বিধিনিষেধের প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। রাজপথে মানুষের ভিড় অন্য দিনের চেয়ে কম। নগরের গুরুত্বপূর্ণ এ প্রবেশপথে পিকআপ, কাভার্ডভ্যানের পাশাপাশি কিছু রিকশা ও মোটরসাইকেলও চলাচল করছিল।
আরও পড়ুন: কঠোর বিধিনিষেধ : ৭ ‘নিষেধাজ্ঞা’, ছাড় ৮ খাতে, ৯ নির্দেশনা
সিটি গেইট এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়েছেন সেনা সদস্যরা। চেকপোস্টে রিকশা ও মোটরসাইকেলের যাত্রীদের থামিয়ে নানা প্রশ্ন করেন সেনা সদস্যরা।
এছাড়া রাজপথে ছিল পুলিশের উপস্থিতিও। বৃষ্টির মধ্যেই টহল ও চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
আমাদের রাউজান প্রতিনিধি জানান, রাউজানে কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করতে অভিযান পরিচালনা করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ। অভিযান চলাকালে বিধিনিষেধ অমান্য করার দায়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকালে উপজেলা সদরের ডাকবাংলো, ফকিরহাট বাজার, মুন্সির ঘাটা এলাকায় র্যাব ও পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করেন ইউএনও জোনায়েদ কবির সোহাগ।
অপরদিকে রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতীশ দর্শী চাকমা পুলিশের উপস্থিতিতে দক্ষিণ রাউজানের নোয়াপাড়া, পাহাড়তলী ও উরকিরচর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে ২৩ জুলাই থেকে ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ আরোপের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরআগে ১ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত একই কারণে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। সেসময় মার্কেট-গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও খোলা ছিল গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানা।
পরে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করে সরকার।
শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে আবার শুরু হচ্ছে কঠোর বিধিনিষেধ। এবারের বিধিনিষেধ চলাকালে গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানাও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এবারের কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে ছয়টি খাত পুরোপুরি বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনের বিষয়টি মাথায় রেখে ছাড় দেওয়া হয়েছে আটটি ক্ষেত্রে। এছাড়া বিধিনিষেধ সংশ্লিষ্ট নয়টি বিশেষ নির্দেশনার কথা বলা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে।