চট্টগ্রামে করোনা : শনাক্তে সাফল্য, মৃত্যুতেও

চট্টগ্রামে করোনায় শনাক্তে সাফল্যের ধারা বজায় আছে। টানা তিনদিন ধরে একশ’র নিচে রয়েছে শনাক্তের সংখ্যা। আবার চতুর্থ দিনের মতো মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে চট্টগ্রাম।

এদিন ৮ উপজেলায় কোনো করোনা রোগী পাওয়া না গেলেও মিরসরাইয়ে ১৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে সুখবর হচ্ছে নগরের একটি হাসপাতালে ২৮৯ নমুনা পরীক্ষায় কারো করোনা শনাক্ত হয়নি।

গত ২৪ ঘণ্টায় নগরে ৫০ জন এবং উপজেলায় ২৩ জনসহ একদিনে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৭৩ জন। তবে এদিন করোনা আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩ শতাংশ।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৬ দিন পর বন্ধ করোনার টিকার প্রথম ডোজ

আগের দিন শনিবার ২ হাজার ৪৬৮ নমুনায় শনাক্ত হয়েছিল ৬৯ জন। এর মধ্যে নগরে ৬১ জন ও উপজেলায় ৮ জন। শনাক্তের হার ছিল ২ দশমিক ৮ শতাংশ।

শুক্রবার ২ হাজার ৭০৫ নমুনায় শনাক্ত হয়েছিল ১১৮ জন। শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ। সেদিনও করোনায় মৃত্যু ছিল না।

রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১২ ল্যাবে ২ হাজার ৪৫৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

বিআইটিআইডিতে ৩৮৩ নমুনায় ২৬ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ৫ নমুনায় ১ জন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২১৯ নমুনায় ৬ জন, শেভরনে ৪৬৩ নমুনায় ৭ জন, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২০৫ নমুনায় ৪ জন, আরটিআরএলে ৮ নমুনায় ৫ জন, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২১০ নমুনায় ২ জন, ইপিক হেলথ কেয়ারে ৭৪ নমুনায় ৫ জন, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৪৭ নমুনায় ১ জন, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪৪৯ নমুনায় ৮ জন ও এভারকেয়ার হসপিটালে ৪৭ নমুনায় ৩ দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে।

এদিন এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ২৮৯ নমুনা পরীক্ষায় কেউ শনাক্ত হয়নি।

এছাড়া ৩৩ এন্টিজেন টেস্টে ৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে করোনা : একদিনে ৩ সুখবর

এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ভেটেরিনারি ও এনিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ এবং ল্যাব এইডে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

উপজেলার মধ্যে পটিয়া ১ জন, রাউজান ২ জন, ফটিকছড়ি ২ জন, হাটহাজারী ২ জন, সীতাকুণ্ড ১ জন, মিরসরাই ১৪ জন ও সন্দ্বীপে ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

তবে লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী আনোয়ারা, চন্দনাইশ, বোয়ালখালী, কর্ণফুলী ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় এদিন কোনো করোনা রোগী পাওয়া যায়নি।

নগরে ৯১ হাজার ৬৬০ জন এবং উপজেলায় ৩৪ হাজার ৩৮৬ জনসহ মোট শনাক্ত ১ লাখ ২৬ হাজার ৪৬ জন।

চট্টগ্রামে মোট মৃত্যু ১ হাজার ৩৬০। যার ৭৩৪ জন নগর এবং ৬২৬ জন উপজেলার বাসিন্দা।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!