চট্টগ্রামে আবার পাহাড়ধসে শিশুর মৃত্যু, গোপনে লাশ গেল কুমিল্লায়

নগরে পাহাড়ধসে চার সহোদর নিহতের তিনদিন পার না হতেই ফের পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটছে। সোমবার (২০ জুন) ভোরে পাঁচলাইশ এলাকায় পাহাড়ের মাটি ধসে দেয়ালচাপায় মো. রায়হান (১১) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে ফের পাহাড়ধসে নিহতের ঘটনা ধামাচাপা দিতে রায়হানের স্বজনরা পুলিশকে খবর না দিয়ে লাশ নিয়ে কুমিল্লা চলে যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করে।

সোমবার (২০ জুন) ভোর ৪টার দিকে পাঁচলাইশ চশমা হিল গ্রিনভ্যালি আবাসিকে এ ঘটনা ঘটে। মো. রায়হান কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ইছাপুর গ্রামের দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে।

জানা যায়, পাঁচলাইশ চশমা হিল গ্রিনভ্যালি আবাসিক এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশ ঘেঁষে নিহত শিশু রায়হানের বাবার ঝুপড়ির দোকান ছিল। রায়হান পড়ালেখার পাশাপাশি বাবার দোকানে সময় দিতেন। সে স্থানীয় একটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণির পড়তো। রাতে দোকান বন্ধ করে তার বাবা বাসায় চলে যায়। তাকেও বাসায় চলে যেতে বললে সে বাসায় না গিয়ে দোকানে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোরে কোনো একসময় পাহাড়ধসে দোকানের পাশের দেয়ালে পড়ে। পাহাড়ি মাটি দোকানের ওপর পড়লে মাটিচাপায় রায়হানের মৃত্যু হয়। সকালে তার বাবা পাহাড়ধসের খবর পেয়ে দোকানে এসে রায়হানকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে কাউকে না জানিয়ে লাশ নিয়ে কুমিল্লায় চলে যায়।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসার সামনে পানি বাড়তে দেখে আইপিএস বন্ধ করতে গিয়ে মৃত্যু ২

বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দীন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, পাঁচলাইশ চশমা হিল গ্রিনভ্যালি আবাসিক এলাকার পাশে পাহাড়ধসে একটি দেয়ালে পড়ে। দেয়ালের পাশে ছিল নিহত রায়হানের বাবার একটি ঝুপড়ি দোকান। রাতে দোকান বন্ধ করে তার বাবা বাসায় চলে গেলেও রায়হান দোকানে ঘুমিয়েছিল। সেখানে মাটিচাপায় রায়হানের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, পাহাড়ধসের বিষয়টি খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। আমরা যাওয়ার আগে সকাল ৮টার দিকে লাশ নিয়ে তার স্বজনরা কুমিল্লা চলে যায়।

এএইচ/এসআই

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!