কালবৈশাখীতে লণ্ডভণ্ড চকরিয়া-পেকুয়া, ২ যুবক লাশ

চকরিয়া ও পেকুয়ায় হঠাৎ কালবৈশাখীর তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসময় বজ্রপাতে দুজন লবণ চাষি নিহত হয়েছেন। পানিতে মিশে গেছে লবণমাঠ, উড়ে গেছে বসতঘর। বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ভোরের দিকে কালবৈশাখীর তাণ্ডব শুরু হয়।

নিহতরা হলেন— পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কোদাইল্লারদিয়া মো. জমির উদ্দিনের ছেলে মো. দিদার (৩৪) এবং একই উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের চড়িপাড়ার জামাল হোসাইনের ছেলে মো.আরাফাত হোসাইন (২৫)।

মগনামা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ইফনুছ চৌধুরী বলেন, আজ ভোরের দিকে হঠাৎ কালবৈশাখীর ঝড় ও সঙ্গে ব্যাপক বজ্রপাত হয়। এসময় লবণ চাষি দিদার লবণমাঠে যায় লবণের উপর পলিথিন দিতে। বজ্রপাতে তিনি দগ্ধ হয়ে মারা যান।

আরও পড়ুন : কালবৈশাখী ঝড়ে বাড়ির উঠানে কাজ করছিল যুবক, গাছচাপায় লাশ

রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল জানান, আজ ভোরের দিকে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রপাত শুরু হলে বাবা জামাল হোসাইনের সঙ্গে লবণমাঠে যান আরাফাত। এসময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার সময় তিনি মারা যান।

এদিকে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী এবং উপকূলীয় এলাকার লবণমাঠের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে গেছে বসতঘর ও আঙিনার গাছগাছালি। পৌর শহরসহ ১৮ ইউনিয়নে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। বিদ্যুৎ সরবরাহ দ্রুত চালু করতে কাজ করছে চকরিয়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।

ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন হেলালী বলেন, কালবৈশাখীর তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সকাল থেকে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসকে জানানো হয়েছে।

বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরে হোসাইন আরিফ বলেন, কালবৈশাখীর তাণ্ডবে লবণমাঠের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে লবণ। ভেঙে গেছে বসতঘর। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হবে।

এমকেডি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!