গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ—ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসার আগেই মিরসরাইয়ে ৭ পরিবার নিঃস্ব

মিরসরাইয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিন বসতঘর পুড়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে ৭ পরিবার। অগ্নিকাণ্ডে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।

বুধবার (৫ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার কাটাছরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ বামনসুন্দর গ্রামের সফর আলী ঘাট মাঝি বাড়ি প্রকাশ আলা বক্স বলী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো হলো— মুসলিমুর রহমান হোরা মিয়ার ৫ ছেলের পরিবার, নবিউল হক ভোলা মিয়ার পরিবার ও মীর হোসেনের পরিবার। আগুনে তাদের নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, আসবাবপত্রসহ যাবতীয় জিনিসপত্র পুড়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই বাড়ির মৃত মুসলিমুর রহমান হোরা মিয়ার বসতঘর থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত হয়। মূহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং ওই বাড়ির ৭ পরিবারের তিনটি বসতঘর পুড়ে যায়। পরে স্থানীয়দের ১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও ততক্ষণে ৭ পরিবারের সবকিছু পুড়ে গেছে।

সামাজিক সংগঠন অদম্য যুব সংঘের পাঠাগার সম্পাদক আবিদ হোসেন বলেন, আগুন লাগার সাথে সাথে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিসকে ফোন করা হয়। কিন্তু ঘটনাস্থলে আসার যে রাস্তা মিঠাছরা-বামনসুন্দর সড়ক তার অবস্থা খুবই খারাপ এবং রাস্তা বন্ধ ছিল। বড় গাড়ি রাস্তায় না আসার জন্য রাস্তার মুখে সেফটি বার দিয়েছিল। তাই তাদের দোষ দিব কীভাবে!

কাটাছরা ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মমতাজ করিম মিটুল বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় ১ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ধারণা করা হচ্ছে মুসলিমুর রহমান হোরা মিয়ার বসতঘর থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছিল। অগ্নিকাণ্ডে ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা ইমাম হোসেন পাটোয়ারী বলেন, মিঠাছরা-বামনসুন্দর সড়ক বন্ধ ছিল। সুফিয়ারোড় রাস্তার মুখে সেফটি বার দেওয়া ছিল। আমরা তা কেটে তারপর ঘটনাস্থলে গিয়েছি। কিন্তু ততক্ষণে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

আজিজ/এসআই

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!