খুনি বাবাকে ১১ বছর টানতে হবে জেলের ঘানি

মেয়েকে খুনের অপরাধে বাবা মো. রায়হানকে (৪৫) বিভিন্ন মেয়াদে ১১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৭মার্চ) দ্বিতীয় চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মু. আমিরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রায়হান নোয়াখালী হাতিয়া মেকফ্যাশন মুকারী মিয়ার বাড়ির আছিলক মাঝির ছেলে। তিনি নগরের পতেঙ্গা জিইএম গেইট শাহজাহান হাজীর কলোনিতে স্ত্রী ও চার কন্যা নিয়ে বসবাস করতেন।

এ বিষয়ে আদালতের বেঞ্চ সহকারী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, নিজের মেয়েকে ছুরিকাঘাতে হত্যার দায়ে পেনাল কোডের ৩০৪ ধারায় রায়হানকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে পেনাল কোডের ৩২৪ ধারায় এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব সাজা একের পর এক কার্যকর হবে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, রায়হান তার চার কন্যা সন্তান ও স্ত্রীর সঙ্গে পতেঙ্গা এলাকায় বসবাস করতেন। তার বড় মেয়ে নাসরিন আক্তার ফেন্সী ও স্ত্রী নাসিমা আক্তার গার্মেন্টসে চাকরি করে সংসার চালাতেন। রায়হান মাঝে মাঝে রিকশা চালালেও তার কোনো নির্দিষ্ট কাজ ছিল না। ২০১৩ সালের ২৫ জুলাই রায়হানকে তার স্ত্রী এবং বড় মেয়ে কাজ করার পরামর্শ দেয়। এসময় তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করে ঘর থেকে বেরিয়ে যান রায়হান।

পরে একই বছরের ৩০ জুলাই সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে রায়হানের স্ত্রী ও মেয়ে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে স্টিলমিল বাজারে সোলেমান স্টোরের সামনে একটি ধারালো ছুরি দিয়ে মেয়ে ফেন্সীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এসময় তার স্ত্রী মেয়েকে বাঁচাতে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে রায়হান। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রায়হানকে পুলিশ আটক করে।

আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফেন্সিকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার দিন রাত ১১টার দিকে রায়হানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ১১ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!