করোনা রোগীদের জন্য একটি ‘ইমিউনিটি বুস্টার’ আবিষ্কারের দাবি করেছেন এক প্রবাসী বাংলাদেশি গবেষক। সিঙ্গাপুর প্রবাসী এই গবেষকের নাম ড. এম এ হুসেন। তাঁর বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলায়।
সম্প্রতি মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ড. এম এ হুসেন বলেন, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে করোনা মহামারি চরম আকার ধারণ করলে অনুমান করি যে, এ ভাইরাসটির বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিষেধক বের করা ওষুধ শিল্পের জন্য কঠিন হতে পারে। এ কারণে, ২০০৭ সালের গবেষণায় কোভিডের মতো উপসর্গের সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, জ্বর ইত্যাদি রোগ নিরাময়ে ভিটামিন, মিনারেল ও ভেষজ উপাদানের সমন্বয়ে ইমিউনিটি বুস্টিং ফর্মুলা অনুকরণে নতুন বুস্টার উদ্ভাবন করি। প্রথমে আমি নিজে তা সেবন করি এবং নিরাপদ অনুভব করি।
তিনি বলেন, ফর্মুলা অনুযায়ী বুস্টার বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর, ইংল্যান্ড, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী পরিচিত আগ্রহীদের দেই। গত বছরের মে মাসে করোনায় আক্রান্ত কয়েকজন এই বুস্টার সেবন করে উপকার পেয়েছেন। এরপর, আমি আরও গবেষণা চালিয়ে ফর্মুলাটিকে অধিক সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করতে থাকি এবং চলতি বছরের জুন মাসে ফর্মুলাটি নিয়ে আমি দেশে ফিরে আসি।
তিনি দাবি করেন, তাঁর উদ্ভাবিত ইমিউনিটি বুস্টারের ব্যবহারে মানিকগঞ্জ এবং ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলের ৪০ জন করোনা রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
বাংলাদেশি এই গবেষক আরও দাবি করেন, দেশে আসার আগেও এই বুস্টারটি সেবন করে ৬০ জন করোনা রোগী উপকৃত হয়েছেন। এসব রোগীর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১০ জন এবং ভারতেরও তিন জন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: করোনা—শনাক্তের ‘দাপট’ উত্তর চট্টগ্রামে, নগরে ফের বাড়ল মৃত্যু
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যবিভাগ করোনা পরিস্থিতিতে ইমিউনিটি বুস্টারটিকে কাজে লাগাতে আগ্রহী হলে সার্বিক সহযোগিতার কথা বলেন এম এ হুসেন। তিনি বলেন, ফর্মুলা অনুযায়ী ভিটামিন এ ও মিনারেলগুলোকে এফডিএ (যুক্তরাষ্ট্র) এবং সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুসারে যোগ করা হয়েছে। আর ভেষজ উপাদানগুলোকে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় উল্লিখিত কিংবা প্রচলিত ব্যবহারের বিবেচনায় নিরাপদ পরিমাণে যোগ করা হয়েছে।
জানা যায়, এম এ হুসেন ২০০০ সালে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর থেকে আণবিক জীববিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি ২০০৭ সালে সিঙ্গাপুরের আণবিক কোষ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট থেকে উদ্ভিদ জেনেটিক্সে পোস্ট ডক্টরেট সম্পন্ন করেন।
এরআগে, ভারতের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৩ সালে জৈব রসায়নে বিএসসি এবং ১৯৯৫ সালে এমএসসি ডিগ্রি শেষ করেন। বর্তমানে তিনি পরিবারসহ সিঙ্গাপুরে বসবাস করছেন।