উপজেলাজুড়ে উৎসব—আনোয়ারায় অবসান হচ্ছে আওয়ামী লীগের দেড় যুগের প্রতীক্ষা

অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ ১৮ বছর পর হতে যাচ্ছে আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে নড়েচড়ে বসেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক, বর্তমান এবং উদীয়মান নেতারা। ব্যানার-পোস্টারে উৎসবের আমেজ বয়ছে উপজেলাজুড়ে।

ইতোমধ্যে সম্মেলন সফল করতে জেলা পরিষদ সদস্য এসএম আলমগীর চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটি এবং পাঁচটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। এই প্রস্তুতি কমিটি গঠনের পর থেকে সম্মেলনকে সফল করে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কমিটির সদস্যরা।

এদিকে সম্মেলনের যাবতীয় কার্যক্রম মনিটরিং করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক এমএ মান্নান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এমএ মালেক এবং ভূমিমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব রিদওয়ানুল করিম চৌধুরী সায়েম।

আওয়ামী লীগ দলীয় সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী গত ২৯ জুলাই আনোয়ারা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রায় ১৮ বছর পর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা স্থগিত করা হয়। আগামী ১০ ডিসেম্বর আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন আনোয়ারা-কর্ণফুলী এলাকার সাংসদ ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাংসদ প্রফেসর ড. আবু রেজা মু. নেজামুদ্দিন নদভী এমপিসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা।

আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, আসন্ন সম্মেলনে সভাপতি পদে উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক এমএ মান্নান চৌধুরী, সহসভাপতি এসএম আলমগীর চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ আনোয়ারা সম্পাদক এমএ মালেক, ফজলুল করিম চৌধুরী বাবুল, নোয়াব আলী, মো. ইয়াছিন হিরু, সুগ্রীব মজুমদার দোলন ও উপজেলা শ্রমিক লীগের দুবারের সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরীর নাম শোনা যাচ্ছে।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, অনেকদিন পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ায় নেতাকর্মীরা চাঙ্গা। ত্যাগীরা নেতৃত্বে আসুক এটাই দলের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক এমএ মান্নান চৌধুরী বলেন, আমি সভাপতি হওয়ার পরে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংঠনগুলো এই উপজেলায় যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী এবং বেশি ঐক্যবদ্ধ ছিল। সবার সহযোগিতায় আমরা একটি সুষ্ঠ ও সফল সম্মেলনের আয়োজন করতে পারবো।

সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য এসএম আলমগীর চৌধুরী বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হবে। তবে যেকোনো পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত নেবেন আমাদের অভিভাবক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০০৪ সালের ১১ এপ্রিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। সেই সম্মেলনে বাহাউদ্দিন খালেক শাহজীকে সভাপতি ও কাজী মোজাম্মেল হককে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। এরপর কাজী মোজাম্মেল হককে সভাপতি ও অধ্যাপক এমএ মান্নান চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক, সর্বশেষ অধ্যাপক এমএ মান্নান চৌধুরীকে সভাপতি ও এমএ মালেককে সাধারণ সম্পাদক করে দুটি কমিটি দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সম্মেলন ছাড়া অনুমোদ দেয়।

এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!