ইসকনের মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ৪ জন মুক্ত, জেলেই থাকছে ব্যবসায়ী নেতা

ধর্মীয় সংগঠন ইসকনকে নিয়ে ফেসবুকে কটুক্তি এবং অপপ্রচারের অভিযোগে কারাগারে পাঠানো চার যুবকের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে একজনকে জামিন দেওয়া হয়নি।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জহিরুল কবির শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আরও পড়ুন: ফেসবুকে ইসকন নিয়ে লিখে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ ৫ হিন্দু জেলে

এর আগে গত রোববার (১৭ জুলাই) পাঁচ যুবককে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

তাঁরা হলেন—প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সুজন বিশ্বাস (৪০), সুভাষ মুহুরী (৩৪), সদীপ দে (৪০) ও সুশীল দে টিটু (৩০)। তবে জামিন মিলেনি ভিআইপি টাওয়ার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কান্তি চৌধুরী প্রকাশ সঞ্জয় চৌধুরীর (৪৩)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মেজবাহ উদ্দিন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আসামিপক্ষের আইনজীবী পাঁচজনের জামিন আবেদন করেন। এদের মধ্যে আদালত চারজনের জামিন মঞ্জুর করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ইসকন ও প্রবর্তক সংঘের মধ্যে মন্দির পরিচালনা নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হওয়ায় আসামিরা ‘সেভ প্রবর্তক সংঘ’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ খুলে ইসকনের নামে নানা ধরনের অপপ্রচার চালান। তাঁরা পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে কটূক্তি, মানহানিকর বক্তব্য এবং উস্কানি প্রদান করেন।

আরও পড়ুন: ইসকনের ২৬ জনের ‘কাঁধে উঠল’ প্রবর্তক সংঘের মামলা

এ ঘটনায় গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ইসকনের পক্ষে নন্দনকানন রাধামাধব মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তাপস আচার্য প্রকাশ তারণ নিত্যানন্দ দাস ব্রহ্মচারী সাইবার ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামে মামলাটি করেন।

আদালত মামলাটি গ্রহণ করে কাউন্টার টেররিজমকে তদন্তের নির্দেশ দেন। চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!