ধর্মীয় সংগঠন ইসকনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কটূক্তি এবং অপপ্রচারের অভিযোগে ৫ যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৭ জুলাই) চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জহিরুল কবির শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে আসামিরা আদালতে জামিন আবেদন করেন।
আসামিরা হলেন— ভিআইপি টাওয়ার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কান্তি চৌধুরী প্রকাশ সঞ্জয় চৌধুরী (৪৩), প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সুজন বিশ্বাস (৪০), সুভাষ মুহুরী (৩৪), সদীপ দে (৪০) ও সুশীল দে টিটু (৩০)।
আরও পড়ুন: ইসকনের ২৬ জনের ‘কাঁধে উঠল’ প্রবর্তক সংঘের মামলা
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শুভাশীষ শর্মা বলেন, ইসকন ও প্রবর্তক সংঘের মধ্যে মন্দির পরিচালনা নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। এ বিষয়কে পুঁজি করে আসামিরা ‘সেভ প্রবর্তক সংঘ’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ খুলে ইসকনের নামে নানা অপপ্রচার চালান এবং পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে কটূক্তি, মানহানিকর বক্তব্য এবং উস্কানি প্রদান করেন। এ ঘটনায় গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ইসকনের পক্ষে নন্দনকানন রাধামাধব মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তাপস আচার্য প্রকাশ তারণ নিত্যানন্দ দাস ব্রহ্মচারী সাইবার ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামে একটি মামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে কাউন্টার টেররিজমকে তদন্তের নির্দেশ দেন। চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আসামিরা আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে দুপক্ষের শুনানি শেষে ৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
আরএস/আরবি