আশ্রয়কেন্দ্রে ১৫০ লোকের রাতের খাবার দিলেন কাউন্সিলর জসিম

চট্টগ্রামে পাহাড়ধসে ৪ মৃত্যুর পর ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরাতে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। পাহাড়ে ঝুঁকিতে থাকাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্রে। এজন্য শুধু চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৯নং উত্তর পাহাড়তলি ওয়ার্ডে খোলা হয়েছে দুটি আশ্রয়কেন্দ্র। আর এ আশ্রয়কেন্দ্রের মানুষরা শনিবার (১৮ জুন) রাতের খাবার সেরেছে কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁ থেকে আনা খাবারে!

জানা যায়, প্রশাসনের পাশাপাশি উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহিরুল আলম জসিম পাহাড়ি এলাকাগুলোতে ছুটে গিয়ে ঝুঁকিতে বসবাস করা মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরে আসার তাগিদ দেন। পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকা এলাকাগুলোতে মাইকিংও করেন তিনি।

শনিবার (১৮ জুন) রাতের মধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেন প্রায় ১৫০ জন মানুষ। আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষদের থাকা-খাওয়াসহ সার্বিক বিষয়ে তদারকি করছেন কাউন্সিলর জসিম। এমনকি কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁ থেকে তাদের জন্য রাতের খাবারও আনেন তিনি।

আরও পড়ুন: ফিরতে চায় রোহিঙ্গারা—ক্যাম্পে ক্যাম্পে ‘বাড়ি চলো’ ক্যাম্পেইন

এ বিষয়ে ৯ নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহিরুল আলম জসিম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, পাহাড় ধসে ৪ জন মানুষ মারা যাওয়া খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এ ঘটনায় আমি খুব মর্মাহত। আবার বিব্রতবোধও হচ্ছে, যেহেতু অনাকাঙ্ক্ষিত এ দূর্ঘটনা ঘটে গেল আমার ওয়ার্ডে।

তিনি বলেন, পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে আনার প্রচেষ্টা করাটা জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার দায়িত্ব। তাই ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে আসার জন্য মাইকিং করেছি। ওই জায়গাগুলোতে গিয়ে এসব মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি।

তিনি আরো বলেন, আমার এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে দুটি। ইতোমধ্যে প্রায় ১৫০ জন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে এসে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের সবকিছু নিজে তদারকি করছি। কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁ থেকে তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছি।

জেএন/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!