মেয়াদউত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, ক্ষতিকর রংয়ের ব্যবহার, নকল ওষুধ বিক্রিসহ বিভিন্ন অপরাধে নগরের বিভিন্ন এলাকার ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ৭ সেপ্টেম্বর) নগরের কাপাসগোলা, চকবাজার, রহমতগঞ্জ, আন্দরকিল্লা ও ইপিজেড এলাকায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ’র নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে ক্ষতিকর রংয়ের ব্যবহার, মেয়াদোত্তীর্ণ মার্জারিন, নকল চেরি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন এবং ছাপা সংবাদপত্র ব্যবহার করে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করায় ইপিজেড থানার ফকির মোহাম্মদ সওদাগর রোডের মৌচাক বেকারিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: দূষিত রুমে তৈরি হচ্ছিল ‘বিশুদ্ধ পানি’ ইভান ড্রিংকিং, অনুমোদনও নেই
এছাড়া কোতোয়ালীর আলবেনী বেকারিকে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ছাড়া খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বিক্রির অপরাধে ৪০ হাজার টাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি দায়ে মুক্তি ফামের্সিকে ১৫ হাজার টাকা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য বিক্রির করায় আন্দরকিল্লার লাইট বেকারিকে ২০ হাজার জরিমানা করা হয়৷
এদিকে চকবাজার থানার শীতল ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে নিষিদ্ধ এনার্জি ড্রিংক বিক্রির দায়ে ২০ হাজার টাকা, ফাঙ্গাস পড়া শুকনা মরিচ বিক্রি করায় বেস্ট বাইকে ১০ হাজার টাকা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনের দায়ে সাইমুন রেস্টুরেন্টকে ১০ হাজার টাকা, একই অপরাধে চক ক্যাফেকে ১০ হাজার টাকা, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য বিক্রির জন্য রহমতগঞ্জ এলাকার তানভীর ফ্যামিলি শপকে ১০ হাজার টাকা এবং ডায়মন্ড অ্যান্ড ফ্রেশ ফুডকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ মোট ১০টি প্রতিষ্ঠানকে আড়াইলাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।